সাকিব আল হাসানের দেশের মাটিতে টেস্ট ক্যারিয়ার শেষ করার পরিকল্পনায় ব্যক্তিগতভাবে কোনো আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। গতকাল তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশ নারী দলের বিশ্বকাপের ম্যাচ দেখতে গিয়ে এ বিষয়ে কথা বলেছেন।
খবরটা বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের জন্যও স্বস্তির। বাংলাদেশ ক্রিকেটের সর্বকালের সেরা ক্রিকেটারের বিদায়টা ঘরের মাঠে হোক, এই চাওয়া বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদেরও। আজ গোয়ালিয়রে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন সংবাদ সম্মেলনে বললেন এমনটাই।
সাকিবের প্রসঙ্গে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার কথার সূত্র ধরে করা এক প্রশ্নের উত্তরে নাজমুল বলেন, ‘সাকিব ভাইয়ের ব্যাপারে যেটা বললেন, উনি যদি দেশের মাটিতে গিয়ে খেলতে পারেন, এটা আমাদের প্রত্যেক ক্রিকেটারের জন্য একটা স্বস্তির ব্যাপার হবে।
তবে টি-টোয়েন্টি সংস্করণে সাকিবকে ছাড়া খেলতে নামা বাংলাদেশ দলের জন্য কিছুটা অস্বস্তিরই। টি-টোয়েন্টি মানেই একাদশ সমন্বয়ের মারপ্যাঁচ, টি-টোয়েন্টি মানেই বড় ব্যাটিং লাইনআপ। সাকিব থাকবে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপটা ৮ নম্বর পর্যন্ত দীর্ঘ হয়। সঙ্গে বোলিং তো আছেই।
সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলা ম্যাচটাকে সাকিব নিজের শেষ আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ বলে দিয়েছেন। তাই নাজমুলদের টি-টোয়েন্টি একাদশ নিয়ে নতুন করে ভাবতে হচ্ছে। বিকল্প হিসেবে সুযোগ দেওয়া হয়েছে অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজকে।
শেষ পর্যন্ত সাকিবকে ছাড়া বাংলাদেশের একাদশ কেমন হতে পারে, সে প্রশ্নের উত্তরে নাজমুল বললেন, ‘সাকিব ভাইয়ের ব্যাপারটা হলো…অবশ্যই উনি যেহেতু এত দিন ছিলেন, এখন একটু মানিয়ে নিতে সমস্যা হবে, একাদশ সাজাতে একটু সমস্যা হবে। কারণ, সাকিব ভাই দুই দিক থেকে ভালো কম্বিনেশন দিতেন ব্যাটিং-বোলিং। আমরা মিরাজকে দলে নিয়ে এসেছি। আশা করব মিরাজ যেন ওই জায়গাটায় দ্রুত মানিয়ে নেয়।’