কাঁধের চোটের কারণে ভারতের বিপক্ষে খেলতে পারেননি। খেলতে পারেননি দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেও। চোট গুরুতর না হলেও তাসকিন আহমেদকে নিয়ে ঝুঁকি নিতে চায়নি দল, জানিয়েছিলেন অধিনায়ক সাকিব।
কলকাতায় আজ সংবাদ সম্মেলনে নিজের চোট নিয়ে বিস্তারিত জানালেন তাসকিন। এই পেসার জানিয়েছেন, ব্যথা বেড়ে যাওয়ার কারণেই গত দুই ম্যাচে খেলতে পারেননি। কয়েক দিন বিশ্রাম শেষে এখন আবার মাঠে নামার জন্য প্রস্তুত এই পেসার।
কলকাতায় ইডেন গার্ডেনে আগামীকাল নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে তাসকিন নিজের সেরাটা এখনো দিতে পারেননি। আফগানিস্তান, ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা প্রথম তিন ম্যাচ মিলে ওভারপ্রতি ৬.৩০ রান খরচ করে মাত্র ২ উইকেট নেন তাসকিন। এরপর ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচে খেলা হয়নি।
নেদারল্যান্ডস ম্যাচের আগে তাসকিন জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে তিনি ভালো অবস্থায় আছেন, ‘কাঁধে চোট প্রথম পেয়েছিলাম দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে, প্রায় দুই বছর আগে। অনেক আগে থেকেই টেন্ডনে একটু টিয়ার (ছেঁড়া) আছে। এটা ম্যানেজ করেই সব সময় খেলেছি। এমনকি এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ এই ব্যথা নিয়েই খেলেছি। হঠাৎ ব্যথাটা বেড়ে গিয়েছিল। ম্যানেজমেন্ট, ডাক্তার, ফিজিও পরে এমআরআই করে দেখে, ভেতরে একটু ফুলে গিয়েছিল। এর জন্য কয়েকটা দিন বিশ্রামে নিয়ে এখন ভালো বোধ করছি। মনে হচ্ছে, ভালো অবস্থাতেই আছি। খেললে আরও বোঝা যাবে, কী অবস্থা হয়।’
তাসকিনের চোট পুরোনো। সেই চোট বয়ে নিয়েই খেলছেন ম্যানেজ করে। তবে এভাবে খেলে দলের পক্ষে সব সময় সেরাটা দেওয়া সম্ভব হয় কি না, এমন একটা প্রশ্ন এসেছিল তাসকিনের সামনে। তাসকিনও মানেন, ব্যথা বাড়লে সব সময় শতভাগ দেওয়া কঠিন।
তবে এভাবে ম্যানেজ করেই খেলতে চান তাসকিন, ‘আমাকে যখন ইংল্যান্ডে পাঠানো হয়েছিল, ডাক্তার বলেছিল, ঠিক হবে কি না, এর কোনো গ্যারান্টি নেই। সময়ও লাগবে বছরখানেক। সে আরেকটা বিকল্প দিয়েছিল, পুনর্বাসন। পরে দেড় মাসের পুনর্বাসন শেষে আল্লাহর রহমতে এখন পর্যন্ত খেললাম। এখন একটু ব্যথাটা বেড়ে গেছে।’
তাসকিন যোগ করেন, ‘বিশ্বকাপের পর কাঁধবিশেষজ্ঞ দেখিয়ে আবার পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় যাওয়ার পরিকল্পনা হয়তো বোর্ড করবে। অস্ত্রোপচার শেষ অপশন। আমিও চাই ম্যানেজ করে যত দূর খেলা যায়। ব্যথাটা বেড়ে গেলে শতভাগ দিতে কষ্ট হয়। তবে ফাস্ট বোলারদের সবারই ছোটখাটো চোট থাকে। দোয়া করবেন, যেন কাঁধ পুরোপুরি ঠিক হয়ে যায়।’