পর পর দুই ম্যাচে বাংলাদেশ নারী দলের টপ অর্ডার কী দারুণ ব্যাটিংই না করল! কিন্তু দুটি ম্যাচেই নিগার সুলতানাদের প্রতিপক্ষ ছিল নারী এশিয়া কাপের ‘বি’ গ্রুপের অপেক্ষাকৃত দুর্বল দল থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়া। তবে জয় তো জয়ই। টানা দুই ম্যাচের দাপুটে জয়ে বাংলাদেশ পেয়ে যায় সেমিফাইনালের টিকিট।
কিন্তু আজ ডাম্বুলায় শেষ চারের লড়াইয়ে টুর্নামেন্ট ফেবারিট ভারতের বিপক্ষে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বাংলাদেশের সেই টপ অর্ডার। টেনেটুনে কোনোরকমে ৮ উইকেটে বাংলাদেশ করতে পারে ৮০ রান। ১১ ওভারেই কোনো উইকেট না হারিয়ে সেই রান পেরিয়ে যায় ভারত।
১০ উইকেটের বিশাল জয়ে আরও একটি এশিয়া কাপের ফাইনালে জায়গা করে নিল হারমানপ্রীত কৌরের দল। আজ সন্ধ্যায় শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানের মধ্যকার দ্বিতীয় সেমিফাইনালে জয়ী দলের বিপক্ষে আগামী ২৮ জুলাইয়ের ফাইনালে খেলবে ভারত।
রান তাড়ায় ভারতের ওপেনার স্মৃতি মান্ধানা ৩৯ বলে ৫৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। ৯টি চার ও ১টি ছক্কা ছিল তাঁর ১৪৫ স্ট্রাইক রেটের ইনিংসে। এই ইনিংস খেলার পথে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে হারমানপ্রীত কৌরের (৩৪১৫ রান) ভারতের হয়ে সবচেয়ে বেশি রানের রেকর্ড ভেঙেছেন মান্ধানা (৩৪৩৩)। শেফালি সেই তুলনায় স্বভাববিরুদ্ধ ব্যাটিং করেছেন। ২৮ বল করেছেন অপরাজিত ২৬ রানে অপরাজিত ছিলেন এই মারকুটে ব্যাটার।
বাংলাদেশ ইনিংসের ব্যাটিংয়ের ছবিটা ছিল সম্পূর্ণ উল্টো। অধিনায়ক নিগারের ৩২ রানের ইনিংস ছাড়া উল্লেখযোগ্য তেমন কিছুই নেই। পাওয়ার প্লেতেই ভারতীয় পেসার রেনুকা সিংয়ের গতি সামলাতে পারেনি টপ অর্ডারের তিন ব্যাটার দিলারা আক্তার, মুর্শিদা খাতুন ও ইশমা তানজিম। রেনুকার প্রথম স্পেলে তিনজনই আউট, দলের রান তখন মাত্র ২১। রেনুকা শেষ পর্যন্ত ৪ ওভারে ১০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিয়েছেন, হয়েছেন ম্যাচসেরাও।
মাঝের ওভারে আরেকটি ধস নামান বাঁহাতি স্পিনার রাধা যাদব, তিনি ৪ ওভারে ১৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিলে ২০ ওভারে ৮০ রানের বেশি করতে পারেনি বাংলাদেশ। নিগার ২০তম ওভার পর্যন্ত টিকে ছিলেন। ৫১ বল খেলেছেন, ২ বাউন্ডারিতে ৩২ রানের মান বাঁচানো ইনিংস খেলেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ৮০/৮ (নিগার ৩২, স্বর্ণা ১৯*; রেনুকা ৩/১০, রাধা ৩/১৪)।
ভারত: ১১ ওভারে ৮৩/০ (মান্ধানা ৫৫*, শেফালি ২৬*)।
ফল: ভারত ১০ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: রেনুকা সিং।