ওয়ানডে ক্যারিয়ারে মাহমুদউল্লাহর শতক চারটি, সবকটিই আইসিসির টুর্নামেন্টে। একটি ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে। আজকের শতকসহ বাকি তিনটি বিশ্বকাপে। অথচ এই মাহমুদউল্লাহরই এবার বিশ্বকাপ খেলা নিয়ে ছিল অনিশ্চয়তা। মাঝখানে দল থেকে বাদ পড়েছিলেন। অনেক নাটকের পর বিশ্বকাপ দল দিয়ে আবার ফিরেছেন জাতীয় দলে।
মাহমুদউল্লাহ হঠাৎ করেই বাংলাদেশ দলে ব্রাত্য হয়ে পড়েছিলেন গত মার্চ মাসে, ইংল্যান্ড সিরিজের পর। সেই সময় থেকে নিজেকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে গেছেন—আজ দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হেরে যাওয়া ম্যাচে শতক করার পর সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্নই করা হয়েছিল মাহমুদউল্লাহকে।
মাহমুদউল্লাহ এর উত্তরে বলেছেন, ‘আমি ঠিক জানি না, নিজেকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে গেছি।’ এরপর তাঁকে প্রশ্ন করা হয়—বিশ্বকাপে খেলতে পারবেন বলে কি আশা করেছিলেন? মাহমুদউল্লাহর উত্তর, ‘হয়তো আল্লাহ আমাকে এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছেন। চেষ্টা করেছি ফিটনেস ঠিক রাখতে, কষ্ট করতে, এর বাইরে তো আমার করার কিছু ছিল না।’
মাঝের সময়টাতে দলে ছিলেন না ঠিক আছে। কিন্তু ফেরার পর তাঁকে এত নিচে ব্যাটিং করতে হবে বলে কি ভেবেছিলেন বা এটাকে তিনি কি ঠিক মনে করছেন—এমন প্রশ্নের উত্তরে মাহমুদউল্লাহ যেন মনের ভেতরে থাকা কষ্টটা উগরে দিতে চাইলেন, ‘আমি এখন এই বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। যদিও আমার অনেক কিছু বলার আছে। কিন্তু এটা হয়ত ওইসব কথা বলার জন্য সঠিক সময় নয়।’
মাহমুদউল্লাহ আপাতত দেশ আর দল নিয়েই ভাবতে চান, ‘আমি এই মুহূর্তে এটুকুই বলতে পারি যে আমি দেশের জন্য খেলতে চাইছি, দলের জন্য অবদান রাখতে চাইছি। যদি দলের জয়ের জন্য কিছু করতে পারি, তাহলে আরও ভালো লাগবে।’
মাহমদুউল্লাহকে সেই সময় দল থেকে বাদ দিয়ে নির্বাচকেরা বলেছিলেন, তাঁকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। কিছু বলতে চান না বলেও এ বিষয়ে মাহমুদউল্লাহ নিজের সেই কষ্টটা তুলে ধরলেন এভাবে, ‘বিশ্রামটা মনে হয় একটু বেশিই হয়ে গিয়েছিল। এটা আমার হাতে নেই। এটা তাঁদের (নির্বাচকদের) সিদ্ধান্ত। আমার কাজটা আমি যদি সততা দিয়ে করতে পারি, এটাই আমার কাজ। আমি এটাই করতে চাই।’
কঠিন সেই সময়ের কথা মনে করে মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, ‘আপনাদের মধ্য থেকে ওই সময় যারা আমাকে সমর্থন করেছেন, তাদের ধন্যবাদ। আর যারা করেননি তাদেরও ধন্যবাদ।’