এবারের আইপিএলের প্রধান গল্প মারকাটারি ব্যাটিং আর একের পর এক ছক্কা হাঁকানো। এবারই প্রথম আইপিএলে ওভারপ্রতি উঠেছে ৯ রানের বেশি করে। এক সানরাইজার্স হায়দরাবাদই আইপিএলে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড ভেঙেছে দুবার।
আইপিএল ইতিহাসে সর্বোচ্চ চারটি দলীয় স্কোরই এসেছে এ বছর। আইপিএলের পর পরই হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আইপিএলের মতো বিশ্বকাপেও কি রান উৎসব দেখা যাবে?
অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি, দিল্লি ক্যাপিটালসের ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার তেমনটা মনে করছেন না। ওয়ার্নারের মতে, বিশ্বকাপের উইকেট আইপিএলের চেয়ে ভিন্ন হবে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের উইকেট সম্পর্কে সাংবাদিকদের ওয়ার্নার বলেছেন, ‘সেখানে উইকেট ধীরগতির হতে পারে, কিছুটা টার্ন করতে পারে। উইকেট কিছুটা নিচু ও ধীরগতির হয়। এমনকি ২০১০ বিশ্বকাপ যখন খেলেছি, হাই স্কোরিং উইকেট ছিল না।’
এবারের আইপিএলে একের পর এক হাই স্কোরিং ম্যাচ হওয়ায় টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে অ্যাঙ্করিং বা ধরে খেলার প্রয়োজনীয়তা আছে কি না, সেই প্রশ্ন উঠছে। ওয়ার্নার মনে করেন, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ধরে খেলার প্রয়োজনীয়তা আছে, ‘তখনই (তেমন উইকেটে) আপনার অ্যাঙ্করের প্রয়োজন হয়, মাইক হাসির মতো একজনকে, সেখানে আমাদের জন্য রান করেছিল। সে উইকেটে আসত, তার নিজের মতো একটা ইনিংস খেলত। সেখানে বিষয়টি পুরোপুরি ভিন্ন হবে। সময়ের কারণে ম্যাচগুলোও হবে মূলত দিনের বেলাতে। তাই এটা একটা বড় ভূমিকা রাখবে।’
এবার আইপিএলে ওয়ার্নারের ব্যাট খুব একটা হাসেনি। এবার ৭ ম্যাচে ১৩৫ স্ট্রাইক রেটে তিনি রান করেছেন ১৬৭।
নিজে সেরাটা না দিতে পারলেও আইপিএলের এবারের উইকেটের প্রশংসা করেছেন ওয়ার্নার, ‘উইকেট খুবই ভালো ছিল। ফ্ল্যাট, কমপ্যাক্ট আর খুব বেশি হাই স্কোরিং। এবং যখন আপনি ছোট বাউন্ডারি পাবেন, আপনি বড় স্কোর দেখতেই পাবেন।’
এবার আইপিএলে ওয়ার্নারের দল দিল্লি ক্যাপিটালস খুব একটা ভালো করতে পারছে না। ৮ ম্যাচ খেলে জিতেছে মাত্র দুই ম্যাচ।