বোধ হয় কিছুটা চাপমুক্তই হলেন ডেভিড ওয়ার্নার। আজ ব্লুমফন্টেইনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে পেলেন ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ২০তম সেঞ্চুরি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে এটি ওয়ার্নারের পঞ্চম সেঞ্চুরি।
এই সংস্করণে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে রেকর্ড ৫টি সেঞ্চুরি আছে শচীন টেন্ডুলকারেরও। এখানে টেন্ডুলকারের কীর্তি ছুঁয়েছেন, আরেকটি অর্জনে ভেঙে দিয়েছেন টেন্ডুলকারের একটি রেকর্ডও। সেই রেকর্ড ওপেনারের ভূমিকায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির।
এই ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সেঞ্চুরি পেয়েছেন মারনাস লাবুশেনও। জোড়া সেঞ্চুরিতে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১২৩ রানের বড় জয় পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। পাঁচ ম্যাচের সিরিজে অস্ট্রেলিয়া এগিয়ে গেছে ২-০ তে।
টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে অস্ট্রেলিয়াকে ঝোড়ো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার ওয়ার্নার ও ট্রাভিস হেড। ১১.৫ ওভারেই উদ্বোধনী জুটিতে আসে ১০৯ রান। হেড টি-টোয়েন্টি মেজাজে ৩৬ বলে ৬৪ রান করেন। এরপর ক্রিজে আসা অধিনায়ক মিচেল মার্শ ফেরেন শূন্য রানে।
স্টিভ স্মিথের চোটে চলতি সিরিজে সুযোগ পাওয়া লাবুশেনকে সঙ্গে নিয়ে এরপর তৃতীয় উইকেটে ১২৪ বলে ১৫১ রান যোগ করেন ওয়ার্নার মাত্র ৮৫ বলে সেঞ্চুরির দেখা পান ওয়ার্নার। সব সংস্করণ মিলিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটি ওয়ার্নারের ৪৬তম সেঞ্চুরি। ওপেনার হিসেবে যা সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির রেকর্ড। এর আগে ওপেনার হিসেবে সর্বোচ্চ ৪৫ সেঞ্চুরি ছিল টেন্ডুলকারের।
প্রথম ম্যাচে ক্যামেরন গ্রিনের কনকাশন বদলি হিসেবে নেমে ম্যাচ জেতানো লাবুশেন আজ সেঞ্চুরির দেখা পান মাত্র ৮০ বলে। এটি লাবুশেনের ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ওয়ানডে সেঞ্চুরি। প্রথম ওয়ানডেতে অপরাজিত ৮০ রানের ইনিংস খেলার পর আজ ৮০ বলে সেঞ্চুরি, বিশ্বকাপের প্রাথমিক দল থেকে বাদ পড়া যেন তাতিয়ে দিয়েছে এই ব্যাটসম্যানকে। শেষদিকে জশ ইংলিসের ৩৭ বলে ৫০ রানে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩৯২ রানে।
এই রানপাহাড়ের জবাবে টেম্বা বাভুমার দলও দারুণ শুরু করে। কুইন্টন ডি কক যখন ৩০ বলে ৪৫ রান করে আউট হন , তখন দলের রান ৯.১ ওভারে ৮১। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা বাভুমা আজ করেছেন ৪৬ রান। ৩৯৩ রানের পাহাড় ছুঁতে যে বড় ইনিংসের দরকার ছিল, তা খেলতে পারেনি কোনো ব্যাটসম্যান। হাইনরিখ ক্লাসেন ও ডেভিড মিলার দুজনেই করেছেন ৪৯ রান। তাতে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংস থামে ২৬৯ রানে।