ম্যাচ সংখ্যার হিসাবে ৮, দিনের হিসাবে ২১২১—নিজেদের প্রথম টেস্ট জিততে বেশ সময় লেগেছিল আয়ারল্যান্ডের। গত মার্চে আবুধাবির টলারেন্স ওভালে তারা আফগানিস্তানকে হারিয়ে দিয়েছিল ৬ উইকেটে।
তবে নিজেদের দ্বিতীয় টেস্ট জিততে আয়ারল্যান্ডের খুব বেশি সময় লাগল না। বেলফাস্টে অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন ও লোরকান টাকারের ব্যাটিং বীরত্বে এবার জিম্বাবুয়েকে ৪ হারিয়ে দিল আইরিশরা। দলটির প্রথম ও দ্বিতীয় টেস্ট জয়ের মাঝে ব্যবধান ১ ম্যাচ আর ১৪৯ দিন। ঘরের মাঠে এটিই আইরিশদের প্রথম জয়। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও প্রথমবার টেস্ট খেলতে নেমে জিতল তারা। দলটি এর আগে একবারই ঘরের মাঠে টেস্ট খেলেছিল; ২০১৮ সালে নিজেদের অভিষেক টেস্ট। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি তারা হেরেছিল ৫ উইকেটে।
বেলফাস্টের সিভিল সার্ভিস ক্রিকেট ক্লাব মাঠে ১৫৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে রিচার্ড এনগারাভার তোপে ২১ রানে ৫ উইকেট খুইয়ে হারের শঙ্কায় পড়েছিল আয়ারল্যান্ড। এরপর টাকার ও ম্যাকব্রাইন মিলে ১২ রান যোগ করার পর বৃষ্টি নামলে গতকাল তৃতীয় দিনের খেলার ইতি টানেন মাঠের দুই আম্পায়ার।
আজ চতুর্থ দিন এনগারাভা-মুজারাবানিদের সামলে আরও ৮৪ রান তোলেন টাকার-ম্যাকব্রাইন। নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে ষষ্ঠ উইকেটে রেকর্ড এই জুটিতে (৯৬ রান) সব শঙ্কা উড়িয়ে জয়ের পথে এগোতে থাকে আয়ারল্যান্ড।
জয় থেকে ৪১ রান দূরে থাকতে টাকার ব্যক্তিগত ৫৬ রানে আউট হলেও মার্ক অ্যাডাইরকে নিয়ে বাকি কাজ সারেন ম্যাকব্রাইন। অ্যাডাইর ২৪ ও ম্যাকব্রাইন ৫৫ রানে অপরাজিত থাকেন।
অলরাউন্ড নৈপুণ্যে (দুই ইনিংস মিলিয়ে ৮৩ রান ও ৭ উইকেট) ম্যাচসেরা হয়েছেন ম্যাকব্রাইন।
জিম্বাবুয়ে ১ম ইনিংস: ৭১.৩ ওভারে ২১০ অলআউট
(মাসভাউরে ৭৪, গাম্বি ৪৯, উইলিয়ামস ৩৫; ম্যাকব্রাইন ৩/৩৭, ম্যাকার্থি ৩/৪২, অ্যাডাইর ২/৪৯)।
আয়ারল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৫৮.৩ ওভারে ২৫০ অলআউট
(মুর ৭৯, ম্যাকব্রাইন ২৮, হামফ্রেইস ২৭*; চিভাঙ্গা ৩/৩৯, মুজারাবানি ৩/৫৩, উইলিয়ামস ২/১১)।
জিম্বাবুয়ে ২য় ইনিংস: ৭১ ওভারে ১৯৭ অলআউট
(মায়ার্স ৫৭, উইলিয়ামস ৪০, গাম্বি ২৪; ম্যাকব্রাইন ৪/৩৮, ইয়াং ২/৩৭, অ্যাডাইর ২/৪২)।
আয়ারল্যান্ড ২য় ইনিংস: ৩৬.১ ওভারে ১৫৮/৬
(টাকার ৫৬, ম্যাকব্রাইন ৫৫*, অ্যডাইর ২৪*; এনগারাভা ৪/৫৩, মুজারাবানি ২/৫২)।
ফল: আয়ারল্যান্ড ৪ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইন (আয়ারল্যান্ড)।