উইকেটের কিছু জায়গায় চতুর্ভুজের মতো চিহ্ন দেওয়া। কয়েকজন স্পিনার নির্দিষ্ট করে দেওয়া সে জায়গাতেই বল ফেলে যাচ্ছেন। আম্পায়ারের ভূমিকায় নারী দলের স্পিন বোলিং কোচ দিনুকা হেট্টিয়ারাচ্চি। একটু দূরে দাঁড়িয়ে প্রধান কোচ হাশান তিলকরত্নে। কম্পিউটার বিশ্লেষক রাশেদ ইকবাল উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে বোলিং ভিডিও করছিলেন। অনুশীলন শেষে সে ভিডিও নিয়ে হলো বিস্তর গবেষণা।
২৪ থেকে ২৫ জুন মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের একাডেমি মাঠে হয়ে যাওয়া মেয়েদের স্পিন বোলিং ক্যাম্পের একটা খণ্ডাংশ এটি। ক্যাম্পে ছিলেন জাতীয় দল, অনূর্ধ্ব-১৯ দল ও ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো করা নারী ক্রিকেটাররা। ক্যাম্প শেষে ৪৬ বছর বয়সী স্পিন বোলিং কোচ দিনুকাকে বেশ সন্তুষ্টই মনে হলো, ‘ক্যাম্পটা আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমরা বোলিংয়ের বেশ কিছু কৌশলগত বিষয় নিয়ে কাজ করেছি। সব মিলিয়ে যা হয়েছে, সেটাকে ভালোই বলতে হবে।’
বাংলাদেশের মেয়েদের ক্রিকেটে এমন বিশেষায়িত ক্যাম্প নতুন। এর আগে নারী দলে ছিল না বিদেশি স্পিন বোলিং কোচ। প্রথমবারের মতো দায়িত্বটা নিয়ে বড় স্বপ্নই দেখছেন দিনুকা, ‘ওরা এবারই প্রথম স্পিন বোলিং কোচ পেয়েছে। শুধু বাংলাদেশে ভালো হলে চলবে না, আমি চাই বিশ্বমানের স্পিনার তৈরি করতে। আশা করি, আমরা সেটা করতে পারব। আমি শ্রীলঙ্কা দলের হয়ে কাজ করেছি। স্পিনাররা সেখানে ভালো করছে, এখানেও আশা করি করবে।’
ক্যাম্পে কয়েকজন প্রভিতাও চোখে পড়েছে সাবেক এই বাঁহাতি স্পিনারের, ‘অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে খেলা রাবেয়া ভালো করছে। নাহিদা (নাহিদা আখতার), (সানজিদা আখতার) মেঘলারাও ভালো করছে। অনেক নতুন মেয়ে এসেছে। ওরা যেন স্লো ও বাউন্সি, সব ধরনের উইকেটে ভালো করতে পারে, সে চেষ্টাই করছি।’
স্পিনাররাও চেষ্টা করছেন যতটা সম্ভব দিনুকার অভিজ্ঞতা আর পরামর্শ কাজে লাগাতে। মেয়েদের জাতীয় দলের বাঁহাতি স্পিনার সানজিদা আখতার বলেছেন, ‘এর আগে আমরা কোনো বিশেষজ্ঞ কোচ পাইনি। যে কারণে অনেক সময় বড় দলের বিপক্ষে খেলা বোঝাটাই কঠিন হয়ে যেত। যিনি আমাদের কোচ হয়ে এসেছেন, তিনি অনেক অভিজ্ঞ। সবাইকে খুব ভালো বুঝতে পারছেন। উনি বাঁহাতি স্পিনার ছিলেন, আমিও বাঁহাতি। আমার জন্য তাই বাড়তি সুবিধা।’