বেচারা হার্দিক পান্ডিয়া, মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব নিয়ে যেন বিপদেই পড়েছেন! ভারতের এই অলরাউন্ডার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হচ্ছেন তামাশার পাত্র। এমনকি টসের সময়ও দর্শকেরা তাঁকে দুয়ো দিয়েছেন। এসবই হচ্ছে রোহিত শর্মাকে অধিনায়কত্ব থেকে সরানোর ফলে। তবে মুম্বাইকে পাঁচবার শিরোপা জেতানো রোহিতকে নিঃসন্দেহে পান্ডিয়া অধিনায়কত্ব থেকে সরাননি, এই সিদ্ধান্ত ফ্র্যাঞ্চাইজির।
ভারতের সাবেক অধিনায়ক, দিল্লি ক্যাপিটালস ফ্র্যাঞ্চাইজির পরিচালক সৌরভ গাঙ্গুলী পান্ডিয়া ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে মনে করিয়ে দিয়েছেন, এখানে পান্ডিয়ার কোনো ভুল নেই।
তিন ম্যাচ খেলে টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত জয়ের দেখা না পাওয়া মুম্বাই আগামীকাল খেলবে দিল্লির বিপক্ষে। সেই ম্যাচের আগে সংবাদ সম্মেলনে সৌরভ বলেছেন, ‘আমার মনে হয় না, হার্দিক পান্ডিয়াকে সমর্থকদের দুয়ো দেওয়া উচিত। এটা ঠিক নয়। ফ্র্যাঞ্চাইজি তাকে নেতৃত্ব দিয়েছে। খেলাধুলায় এমনটাই হয়। ভারত, কোনো রাজ্য কিংবা কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজির অধিনায়ক যদি আপনি হন, তাহলে আপনাকে সে দায়িত্ব দেওয়া হয়। এটা হার্দিকের ভুল নয়, তাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সুতরাং আমার মনে হয়, সবার এই বিষয়টা বোঝা উচিত।’
মুম্বাইয়ের অধিনায়ক হিসেবে মাঠে নামার পর থেকেই ট্রলের শিকার হচ্ছেন পান্ডিয়া। এগুলোকে অবশ্য ট্রল না বলে অসম্মান বলাই হয়তো ভালো। এই যেমন প্রথম ম্যাচে গুজরাট টাইটানসের বিপক্ষে মাঠে ঢুকে পড়ে একটি কুকুর। কুকুরটিকে দেখে দর্শকেরা ‘হার্দিক, হার্দিক...’ বলে চিৎকার করতে থাকেন।
এরপর সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে টসের আগে টিভিতে পান্ডিয়াকে দেখানো হচ্ছিল। স্টেডিয়ামের বাইরে থাকা দর্শকদের কেউ কেউ বড় পর্দায় তাঁকে দেখতেই জুতা খুলে স্ক্রিন লক্ষ্য করে ছুড়ে মারতে শুরু করে। যারা এমনটা করছে, তাদের বেশির ভাগ রোহিতের সমর্থক বলে ধারণা করা হয়। কারণ, রোহিতকে হুট করে মুম্বাইয়ের নেতৃত্ব থেকে সরানোয় ক্ষুব্ধ তারা।
সৌরভ রোহিতকেও প্রশংসায় ভাসিয়েছেন, ‘রোহিত ভিন্ন মানের। এই ফ্র্যাঞ্চাইজি ও ভারতের হয়ে অধিনায়ক আর খেলোয়াড় হিসেবে ওর পারফরম্যান্স ভিন্ন পর্যায়ের।’
এর আগে পান্ডিয়ার পাশে দাঁড়িয়েছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ভারতের অফ স্পিনার নিজের ইউটিউব চ্যানেলে এক সমর্থকের প্রশ্নের উত্তরে এমন পাগলামো বন্ধ করতে বলেছিলেন, ‘মানুষের মনে রাখা উচিত, এই খেলোয়াড়গুলো কোনো দেশের প্রতিনিধিত্ব করে। এটা আমাদের দেশ। সমর্থকদের যুদ্ধ কখনো নোংরা পথে পরিচালিত হওয়া উচিত নয়। আমি এটা আগেও বলেছি, এটা সিনেমার সংস্কৃতি, এটা শুধু সেখানে ঘটে।’