১৮ বলে ফিফটি করেন ডু প্লেসি
১৮ বলে ফিফটি করেন ডু প্লেসি

ডু প্লেসির ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে আশা বাঁচিয়ে রাখা জয় বেঙ্গালুরুর

ম্যাচটা যদি ৬ ওভারের হতো, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু জিতত মাত্র ৯ বলেই!

আগে ব্যাট করা গুজরাট টাইটানস পাওয়ারপ্লেতে তোলে ৩ উইকেট ২৩ রান। তাড়া করতে নামা বেঙ্গালুরু ১.৩ ওভারেই তুলে ফেলে বিনা উইকেটে ২৯ রান। তবে ম্যাচটা তো ৬ ওভারের নয়, ২০ ওভারের। বেঙ্গালুরুর জিততে তাই সময় লেগেছে। তবে সময় যেমনই লাগুক, গুজরাটকে সহজেই হারিয়েছে বেঙ্গালুরু। অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসির ২৩ বলে ৬৪ রানের ঝোড়ো ইনিংসে বেঙ্গালুরু গুজরাটের ১৪৭ রান পেরিয়েছে ৪ উইকেট ও ৩৮ বল হাতে রেখেই।

এই জয়ে প্লে-অফ খেলার আশা টিকিয়ে রেখেছে বেঙ্গালুরু। ১১ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে ডু প্লেসির দল এখন সাতে, সমান ম্যাচ সমান পয়েন্ট হলেও নেট রান রেটে পিছিয়ে গুজরাট নয়ে।

বেঙ্গালুরুর এম চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের ম্যাচটিতে স্বাগতিকদের জয়ের লক্ষ্য ছিল ১৪৮ রানের। ডু প্লেসি আর বিরাট কোহলির উদ্বোধনী জুটি ৫.৫ ওভারেই তুলে ফেলে ৯২ রান।

মাত্র ১৮ বলে ফিফটি করা ডু প্লেসি ২৩ বলে ৬৪ রান করে জশুয়া লিটলের বলে ক্যাচে আউট হন। তাঁর ইনিংসে ছিল ১০ চার ও ৩ ছয়।

কোহলি–ডু প্লেসির উদ্বোধনী জুটিতে ৩৫ বলে ওঠে ৯২ রান

তবে ডু প্লেসি আউট হওয়ার পরই বড়সড় বিপর্যয়ে পড়ে বেঙ্গালুরু। প্রথম ৬ ওভারে ১ উইকেটে ৯২ রান তোলা দলটি পরের ৬ ওভারে ৪১ রান তুলতে হারায় ৫ উইকেট। এক পর্যায়ে তো গুজরাট স্পিনার নুর আহমেদ শর্ট লেগ ও স্লিপে ফিল্ডার রেখে বোলিং শুরু করেন।

তবে লক্ষ্যটা নাগালের মধ্যে থাকায় ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়েনি বেঙ্গালুরু। দিনেশ কার্তিক ১২ বলে ২১ আর স্বপ্নীল সিং ৯ বলে ১৫ রানে অপরাজিত থেকে দল জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। এর আগে কোহলি নুরের বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেওয়ার আগে ২৭ বলে ৪২ রান করে যান।

প্রথমে ব্যাট করা গুজরাট ম্যাচে পিছিয়ে পড়ে পাওয়ারপ্লেতেই। মিডল অর্ডারে শাহরুখ খান (৩৭), রাহুল তেওয়াতিয়া (৩৫) ও ডেভিড মিলারদের (৩০) মাঝারি তিনটি ইনিংসের সুবাদে দেড় শর কাছাকাছি যায় সংগ্রহ। বেঙ্গালুরুর হয়ে ২৯ রানে ২ উইকেট নেওয়া মোহাম্মদ সিরাজ হন ম্যাচসেরা।