মাহমুদউল্লাহকে কি দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে, নাকি তাঁকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে?
গতকাল ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের মধ্যেই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দল থেকে মাহমুদউল্লাহর বাদ পড়াটা প্রশ্ন তুলেছে। যদিও কালই প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন জানিয়ে দিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারপরও ব্যাপারটি যথেষ্ট কানাঘুষার জন্ম দিয়েছে।
প্রধান নির্বাচক মিনহাজুলের ‘বিশ্রাম’ তত্ত্বের ব্যাখ্যা দিয়েছেন আরেক নির্বাচক হাবিবুল বাশার, ‘মাহমুদউল্লাহকে আমরা বিশ্রাম দিয়েছি। কারণ, তাকে নিয়ে খুব বেশি কাজ করার নেই। যখন বড় টুর্নামেন্ট আসবে, সেখানে কিন্তু তারা আগেই খেলেছে। তার কিন্তু ওখানে গিয়ে পরীক্ষা দেওয়ার কিছু নেই।’
আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজে নতুন মুখ জাকির হাসান। দলে ফিরেছেন শরীফুল ইসলাম, ইয়াসির আলী। মাহমুদউল্লাহর জায়গায় নেওয়া হয়েছে মূলত ইয়াসিরকে। মাহমুদউল্লাহকে বিশ্রামে রাখাটা তাঁর বিকল্প তৈরিরই পদক্ষেপ এমনটাই বলেছেন হাবিবুল, ‘মাহমুদউল্লাহর জায়গায় যদি কাউকে নিতে হয়, তাঁকে পরীক্ষা দিতে হবে। এই চিন্তাভাবনা থেকেই তাঁকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে।’
মাহমুদউল্লাহর ‘বিকল্প তৈরি’র ব্যাপারটিও ব্যাখ্যা করে বুঝিয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল, ‘মাহমুদউল্লাহ এমন একজন ক্রিকেটার, যে অনেক বছর ধরে বাংলাদেশের হয়ে খেলেছে, সম্ভবত তিনটি বিশ্বকাপ খেলে ফেলেছে সে। তাঁর জন্য তো বিশ্বকাপ নতুন কিছু নয়। তবে কেউ যদি চোটে পড়ে, সে যেন প্রস্তুত থাকে, সেটিই চেষ্টা করছি।’
ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে দলে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। তিন ম্যাচে রান করেছেন ৭১ (মিরপুরের প্রথম দুই ওয়ানডেতে ৩১ ও ৩২, চট্টগ্রামের তৃতীয় ম্যাচে ৮)। ফিল্ডিংয়ে নিজের সেরাটা দিতে পারেননি। আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ‘বিশ্রাম’ শেষে মাহমুদউল্লাহর ফেরা নিয়ে অবশ্য এখনই কিছু জানাতে পারেননি হাবিবুল, ‘আমি আগেই বলেছি, মাহমুদউল্লাহ আমাদের পরীক্ষিত ক্রিকেটার। তাঁর প্রমাণ করার কিছু নেই। তাঁকে নিয়ে ভবিষ্যতে কী হবে, সেটা আমরা পরেই ভাবব। আপাতত আমরা শুধু এই সিরিজ নিয়ে চিন্তা করছি।’