ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (সিপিএল) প্রথম দুই আসরেই ফাইনালে উঠেছিল গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স। টানা দুই ফাইনাল খেলেছিল ষষ্ঠ ও সপ্তম আসরে। সব মিলিয়ে প্রথম ১০ আসরের ৫টিতে ফাইনাল খেললেও প্রতিবারই রানার্সআপ হয়ে মাঠ ছাড়তে হয়েছিল তাদের।
অবশেষে ষষ্ঠ ফাইনালে এসে শিরোপার দেখা মিলেছে গায়ানার। আজ সিপিএলের ১১তম আসরের ফাইনালে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সকে ৯ উইকেটে হারিয়ে প্রথমবার সিপিএল চ্যাম্পিয়ন হয়েছে গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স।
এত দিন সিপিএল ফাইনালে নাইট রাইডার্স মানেই ছিল শিরোপা জয়। চারবার ফাইনাল খেলে প্রতিবারই ট্রফি হাতে তুলেছিল দলটি। আজ সেই নাইট রাইডার্সই ‘ফাইনাল মানেই হার’ গায়ানার কাছে পাত্তা পায়নি। প্রভিডেন্সে প্রথমে ব্যাট করে ১৮.১ ওভারে মাত্র ৯৪ রানে অলআউট হয়ে যায় নাইট রাইডার্স। নিকোলাস পুরানের নেতৃত্বাধীন দলটির হয়ে সর্বোচ্চ ৩৮ রানের ইনিংস আসে কিসি কার্টির ব্যাট থেকে। অন্যদের মধ্যে দুই অঙ্কে পৌঁছাতে পেরেছেন শুধু মার্ক ডেয়াল (১৬) ও চ্যাডউইক ওয়ালটন (১০)।
নাইট রাইডার্সের ব্যাটিংকে এভাবে ধসিয়ে দেওয়ার কাজটি হয় দক্ষিণ আফ্রিকার ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসের পেস এবং ইমরান তাহির ও গুড়াকেশ মোতির স্পিনে। প্রিটোরিয়াস ২৬ রানে নেন ৪ উইকেট। আর ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে গুড়াকেশ মাত্র ৭ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। অধিনায়ক তাহির দুই উইকেট নেওয়ার পথে চার ওভারে দেন মাত্র ৮ রান।
রান তাড়া করতে নেমে ১৪ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় গায়ানা। পাকিস্তানি ওপেনার সায়েম আইয়ুব ৪১ বলে ৫২ এবং শেই হোপ ৩২ বলে ৩২ রান করে অপরাজিত থাকেন।
ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্স: ১৮.১ ওভারে ৯৪ (কার্টি ৩৮, ডেয়াল ১৬; প্রিটোরিয়াস ৪/২৬, গুড়াকেশ ২/৭, তাহির ২/৮০)।
গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স: ১৪ ওভারে ৯৯/১ (আইয়ুব ৫২*, হোপ ৩২*; আকিল ১/২১)।
ফল: গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্স ৯ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচসেরা: ডোয়াইন প্রিটোরিয়াস
টুর্নামেন্ট সেরা: শেই হোপ