অস্ট্রেলিয়ার গ্লেন ম্যাকগ্রা ও ইংল্যান্ডের স্টিভেন ফিন—অ্যাশেজ শুরুর আগে দুজনেরই ভবিষ্যদ্বাণী ছিল এবার কোনো ম্যাচ ড্র হবে না। সব ম্যাচেই কেউ না কেউ জিতবে। তৃতীয় টেস্ট পর্যন্ত দুজনের কথাই সঠিক। এজবাস্টন ও লর্ডসে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড হেডিংলিতে।
এই মুহূর্তে অধিনায়ক হিসেবে বেন স্টোকস পিছিয়ে আছেন। তবে হেডিংলিতে জেতার আগে দুই ম্যাচে হারের ফলে অনন্য এক রেকর্ডে নাম লিখিয়েছেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক। স্টোকসের নেতৃত্বে খেলা প্রথম ১৭ টেস্টের সব কটিতেই ফল হয়েছে। একটিও ড্র হয়নি।
ফল হওয়ার দিক থেকে স্টোকস পুরোপুরিই সফল। গত বছর আনুষ্ঠানিকভাবে ইংল্যান্ডের অধিনায়কত্ব নেওয়ার পর কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালামের সঙ্গে মিলে টেস্ট ক্রিকেট খেলার ধরনের বড় পরিবর্তন এনেছেন স্টোকস। আক্রমণাত্মক ও অতি ইতিবাচক ক্রিকেট খেলে ফল বের করে আনা এখানে মূল লক্ষ্য, যাতে দর্শকেরা আনন্দ পান।
তবে স্টোকস নেতৃত্বের প্রথম টেস্টেই ফল দেখা প্রথম অধিনায়ক নন। একই ‘কীর্তি’ আছে বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান আর পাকিস্তানের ওয়াকার ইউনিসেরও। তবে ‘১৭’–তে মিল থাকলেও বাকি অংশে কিন্তু অমিলই বেশি।
সাকিব বাংলাদেশকে এখন পর্যন্ত ১৯টি টেস্টে নেতৃত্ব দিয়েছেন। এর মধ্যে প্রথম ম্যাচটি ছিল ২০০৯ সালের জুলাইয়ে, গ্রেনাডায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। আগের ম্যাচে সেন্ট ভিনসেন্টে মাশরাফি বিন মুর্তজা চোটে পড়ায় সাকিবকে আচমকাই নেতৃত্ব নিতে হয়।
আর অধিনায়কত্বের প্রথম ম্যাচেই তাঁর অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে (৮ উইকেট ও ১১২ রান) বাংলাদেশ ৪ উইকেটে জয় পায়। এর পর থেকে সাকিবের নেতৃত্বে বাংলাদেশ যতবারই খেলতে নেমেছে, ততবারই কোনো না কোনো ফল হয়েছে। হয় জয়, নয়তো হার।
সব মিলিয়ে সাকিবের নেতৃত্বে খেলা প্রথম ১৭ টেস্টে ৩টিতে জিতেছে বাংলাদেশ, হেরেছে ১৪টিতে। এমনকি ১৮ ও ১৯তম টেস্টেও ফল হয়েছে। এর মধ্যে গত বছরের ডিসেম্বরে ভারতের কাছে হার আর এ বছরের এপ্রিলে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জয়।
প্রথম ১৭ টেস্টে ফল দেখেছেন ওয়াকার ইউনিসও। পাকিস্তানের তারকা পেসার অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ১৭ ম্যাচের ১০টিতে জিতেছিলেন, হেরেছিলেন ৭টিতে। তৃতীয় অধিনায়ক হিসেবে নেতৃত্ব দেওয়া প্রথম ১৭ টেস্টেই ফল দেখেছেন স্টোকস। এর মধ্যে জয়ের সংখ্যা ওয়াকারের চেয়ে বেশি—১২টি। স্টোকসের অধিনায়কত্বে ইংল্যান্ড হেরেছে মাত্র ৫ টেস্টে।
৫
স্টোকসের নেতৃত্বে এখন পর্যন্ত ৫ বার ২৫০+ রান তাড়া করে জিতেছে ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪ বার এই কীর্তি আছে ভারতের মহেন্দ্র সিং ধোনির।