টাই হয়েছিল শ্রীলঙ্কা ও ভারত সিরিজের প্রথম ওয়ানডে
টাই হয়েছিল শ্রীলঙ্কা ও ভারত সিরিজের প্রথম ওয়ানডে

ম্যাচ অফিশিয়ালদের বেখেয়ালে সুপার ওভার হয়নি শ্রীলঙ্কা-ভারত টাই ওয়ানডেতে

শ্রীলঙ্কা ও ভারতের সিরিজের প্রথম ওয়ানডে টাই হওয়ার পর নিয়ম অনুযায়ী সুপার ওভার হওয়ার কথা ছিল। তবে ম্যাচ অফিশিয়ালরা খেয়াল না করায় সেটি হয়নি।

আইসিসির সর্বশেষ প্রকাশিত (২০২৩ সালের ডিসেম্বর) পুরুষদের ওয়ানডের প্লেয়িং কন্ডিশনের ১৬.৩.১.১ ধারা অনুযায়ী, দুই ইনিংস শেষ হওয়ার পর দুই দলের স্কোর সমান হলে (ডিএলএস পদ্ধতি ছাড়া) সুপার ওভার হতে হবে। সুপার ওভারও টাই হলে ‘ব্যতিক্রমী পরিস্থিতি’ ব্যতীত সুপার ওভার হতে থাকবে, যতক্ষণ না এক দল জয়ী হয়। আর সুপার ওভার সম্ভব না হলে ম্যাচকে টাই হিসেবে ঘোষণা করা হবে।

তবে ইএসপিএনক্রিকইনফো বলছে, সে ম্যাচের অন ফিল্ডের দুই আম্পায়ার জোয়েল উইলসন ও রবীন্দ্র উইমালাসিরি, ম্যাচ রেফারি রঞ্জন মাদুগালে, টেলিভিশন আম্পায়ার পল রাইফেল ও চতুর্থ আম্পায়ার রুচিরা পালিয়াগুরুগে এরপর ভেতরে ভেতরে নিজেদের ভুল স্বীকার করেছেন।

অবশ্য এর মাঝে অন্য একটি ব্যাপারও কাজ করে থাকতে পারে। সাধারণত প্লেয়িং কন্ডিশনের কিছু ব্যাপারে দ্বিপক্ষীয় সিরিজে দুই দলের সমঝোতা হয়। এ কারণেই টাই হওয়ার পরও সুপার ওভার হয়নি কি না, তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হতে পারে। তবে প্লেয়িং কন্ডিশন অনুযায়ী, যেকোনো ওয়ানডেতেই টাই হলে এখন সুপার ওভার হতে হবে।

ক্রিকইনফো বলছে, মাদুগালে, উইলসন ও উইমালাসিরি তাৎক্ষণিকভাবে সুপার ওভার না খেলানোর নির্দিষ্ট কারণ নিয়ে আলোচনা করেননি। তবে পরবর্তী সময়ে আলোচনার ভিত্তিতে তারা সিদ্ধান্ত নেন, সিরিজে পরবর্তী সময়ে কোনো ম্যাচ টাই হলে সুপার ওভার হবে।

গত ২ আগস্ট কলম্বোয় সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ভারতকে ২৩১ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। জবাবে ৪৭.৫ ওভারে ২৩০ রানেই অলআউট হয়ে যায় ভারত। এর পরপরই আম্পায়াররা স্টাম্পের বেলস তুলে ম্যাচ শেষের সংকেত দেন, খেলোয়াড়েরাও হাত মেলাতে থাকেন। তবে ম্যাচ টাই হওয়ার কথা কি না, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সে প্রশ্ন ঠিকই ওঠে।

শ্রীলঙ্কা পরের দুটি ম্যাচ জিতে সিরিজ জেতে ২-০ ব্যবধানে। যেটি ভারতের বিপক্ষে লঙ্কানদের ১৯৯৭ সালের পর প্রথম কোনো দ্বিপক্ষীয় ওয়ানডে সিরিজ জয়।