মাত্র দুই দিনের ব্যবধানেই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ দুটিই দেখিয়ে দিল আমাদের দল। প্রথম ম্যাচের নিরীহ আত্মসমর্পণের পর এই দুর্দান্ত ফিরে আসা দলের ইমেজ পুনরুদ্ধারে তো বটেই পাশাপাশি আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতেও দারুণ কাজে আসবে। অভিনন্দন বাংলাদেশ দলকে।
খুব ভালো একটা বলে আউট হওয়ার আগপর্যন্ত অনেক চাপের মধ্যেও কার্যকর ইনিংস খেলে দলকে কাঙ্ক্ষিত শুরু এনে দিয়েছে।
‘ম্যান উইথ আ বিগ হার্ট।’ ওর ইনিংসের প্রশংসা করার ভাষা খুঁজে পাওয়াই মুশকিল। স্বীকৃত ওপেনার না হয়েও এমন সাবলীল ব্যাটিং। চাপের মুখে নিজের পরিকল্পনায় স্থির থাকা এবং দুর্দান্ত টেম্পারামেন্ট। বোলিংয়েও যথেষ্ট কার্যকর।
এমন একটা বলে আউট হয়ে সে–ও হতাশ হবে।
আরও একটা গোছানো ম্যাচজয়ী ইনিংস। মিরাজের সঙ্গে জুটিটা ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। ওর খেলার মধ্যে একটা প্যাটার্ন দৃশ্যমান হচ্ছে, যা তাকে ধারাবাহিক হতে সহায়তা করবে।
নিজের ভূমিকা দারুণভাবে পালন করেছে। রানআউট না হলে হয়তো আরও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং দেখা যেত। দুর্দান্ত ক্যাচের জন্য ১ পয়েন্ট বোনাস।
বেশ কিছুদিন পর এমন একটা বিস্ফোরক ইনিংস দেখলাম। বোলিংও সন্তোষজনক। পাঁচজন বিশেষায়িত বোলার নিয়ে দক্ষতার সঙ্গে দল পরিচালনা করেছে। তবে ষষ্ঠ বোলারের ব্যাপারটা হয়তো ভেবে দেখা দরকার।
ক্যারিয়ারের প্রথম বলেই ছক্কা। প্রয়োজন হলে ছেড়ে কথা বলবে না, তা এই ছোট্ট ইনিংসেই বুঝিয়ে দিল।
ব্যাট হাতে খুব বেশি কিছু করারও ছিল না। আফিফের উচিত বোলিং নিয়ে কাজ করা। তাতে ওর ক্যারিয়ার যেমন সমৃদ্ধ হবে, দলও লাভবান হবে।
একটা বড় পুঁজি থাকার পরও যথেষ্ট আক্রমণাত্মক মনে হয়নি প্রথম স্পেলে। পরেরগুলোতে অবশ্য যথেষ্ট কার্যকর ছিল।
রহমানউল্লাহ গুরবাজের গুরুত্বপূর্ণ উইকেটের জন্যই ১ নম্বর বোনাস দেওয়া যায়। সুইং, লাইন, লেংথ, মানসিকতা—সব মিলিয়ে দিনের সেরা বোলার।
ইব্রাহিম জাদরানকে আউট করা জরুরি ছিল। বলটিও ছিল দারুণ। তবে ইয়র্কারে দক্ষতা থাকলেও তার যথেষ্ট ব্যবহার দেখিনি।