আইসিসির নভেম্বর মাসের সেরা নারী ক্রিকেটারের সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন বাংলাদেশের নাহিদা আক্তার ও ফারজানা হক। মনোনীত আরেকজন পাকিস্তানের সাদিয়া ইকবাল। অক্টোবর মাসের সেরা খেলোয়াড়ের সংক্ষিপ্ত তালিকায়ও ছিলেন নাহিদা।
ছেলেদের মাসসেরার সংক্ষিপ্ত তালিকায় আছেন অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী দলের দুই সদস্য গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও ট্রাভিস হেড। অন্যজন বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি (২৪) ভারতের পেসার মোহাম্মদ শামি। আজ এ তালিকা প্রকাশ করেছে আইসিসি। মাসসেরা খেলোয়াড় নির্বাচন করতে আইসিসির ওয়েবসাইটে গিয়ে যে কেউ ভোটও দিতে পারবেন। আগামী সোমবার ছেলে–মেয়ে দুই বিভাগেই সেরা খেলোয়াড়ের নাম প্রকাশ করা হবে।
গত নভেম্বরে মিরপুরে পাকিস্তানের বিপক্ষে পিছিয়ে পড়েও ওয়ানডে সিরিজ জেতে বাংলাদেশ নারী দল। তিন ম্যাচের সেই সিরিজে ১৪.১৪ গড়ে ৭ উইকেট নেন ২৩ বছর বয়সী বাঁহাতি স্পিনার নাহিদা। সিরিজসেরার পুরস্কারও ওঠে তাঁর হাতে।
প্রথম ওয়ানডে বাংলাদেশ মাত্র ৮১ রানে অলআউট হয়। পরে ম্যাচ হারে ৫ উইকেটে। তবে দল খারাপ করলেও নাহিদা একাই লড়ে গেছেন। ৩০ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচটা জমিয়ে তোলার আভাস দিয়েছিলেন।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ৪১ রানে নেন ১ উইকেট। ভাঙেন ডায়ানা বেগ ও নাজিহার আলভির গড়ে তোলা গুরুত্বপূর্ণ জুটি। এ ছাড়া দুটি রানআউটও করেন। দুই দলই সমান ১৬৯ রান করলে খেলা গড়ায় সুপার ওভারে। বাংলাদেশকে সিরিজে টিকিয়ে রাখার ম্যাচে সুপার ওভারে নাহিদার ওপরই আস্থা রাখেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা। ওই ওভারে মাত্র ৭ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়ে আস্থার প্রতিদান দেন নাহিদা। পরে শেষ বলে নিগারের বাউন্ডারিতে সিরিজে সমতা আনে বাংলাদেশ।
সিরিজ নির্ধারণী তৃতীয় ম্যাচেও পাকিস্তানে অল্পতে (৫০ ওভারে ১৬৬/৯) বেঁধে ফেলতে বড় অবদান রাখেন নাহিদা। ২৬ রানে নেন ৩ উইকেট। ১৬৭ রানের লক্ষ্য ৭ উইকেট আর ২৬ বল অক্ষত রেখে ছুঁয়ে সিরিজ জিতে নেয় বাংলাদেশ।
মাসসেরা সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা আরেক বাংলাদেশি ফারজানা ওই সিরিজের সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক। তিন ম্যাচে ৩৬.৬৬ গড়ে করেন ১১০ রান। প্রথম ওয়ানডেতে ৮ রান করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ফারজানার ব্যাট থেকে আসে ৪০ রান। সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচে মুর্শিদা খাতুনের সঙ্গে উদ্বোধনী জুটিতে তোলেন ১২৫ রান। ফারজানা করেন ৬২ রান। তাঁর ব্যাটেই অনায়াসে রান তাড়া করে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জেতাতে না পারলেও আলো ছড়িয়েছেন পাকিস্তানের সাদিয়া। ২৮ বছর বয়সী এই বাঁহাতি স্পিনার ১২.৫০ গড়ে নিয়েছেন ৬ উইকেট। এর সঙ্গে নজর কেড়েছে তাঁর ‘হাড়কিপটে’ ইকোনমি রেট; ২.৫৮। প্রথম ওয়ানডেতেই ক্যারিয়ারসেরা (১৩ রানে ৪ উইকেট) বোলিং করেন সাদিয়া। দ্বিতীয় ম্যাচে নেন ২ উইকেট। শেষ ম্যাচে উইকেটশূন্য থাকলেও ১০ ওভারে মাত্র ৩০ রান দেন।