মাঠের চারপাশে নান্দনিক সব শট খেলা, পরিণত মস্তিষ্কে ইনিংস বড় করা—ব্যাপারগুলো যেন অভ্যাসে পরিণত করেছিলেন শুবমান গিল।
বিশ্বকাপেও গিলকে সম্ভাব্য সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের সংক্ষিপ্ত তালিকায় রেখেছিলেন ক্রিকেট বিশ্লেষকেরা। তবে তাঁর অবিশ্বাস্য ছন্দে ছেদ ফেলেছে ডেঙ্গু। ভারত ২ ম্যাচ খেলে ফেললেও অসুস্থতার কারণে এখনো মাঠেই নামতে পারেননি। আগামীকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে মর্যাদার ম্যাচ দিয়ে ফিরবেন কি না, সেটাও নিশ্চিত নয়।
গিল কাল খেলুন বা না খেলুন, তার আগে বড় একটা সুখবর পেয়েছেন। আইসিসির সেপ্টেম্বর মাসের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন ভারতীয় ওপেনার। আজ নিজেদের ওয়েবসাইটে বিষয়টি জানিয়েছে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা। গত মাসের সেরা নারী খেলোয়াড় হয়েছেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক চামারি আতাপাত্তু।
গত মাসে ৮টি ওয়ানডে খেলে ২ সেঞ্চুরি ও ৩ ফিফটিতে ৪৮০ রান করেছেন গিল। গড় ৮০, স্ট্রাইক রেট ৯৯.৩৭। ভারতের এশিয়া কাপ জয়ের পথে করেছেন ৩০২ রান। বাংলাদেশের কাছে নিয়ম রক্ষার ম্যাচে ভারত হারলেও তিনি উপহার দিয়েছিলেন ১২১ রানের ইনিংস। এ ছাড়া নেপাল ও পাকিস্তানের বিপক্ষে ফিফটি ছিল তাঁর।
বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলেছে ভারত। ওই সিরিজে প্রথম দুই ওয়ানডে খেলে গিল করেছেন ৭৪ ও ১০৪।
এ বছরের জানুয়ারিতেও মাসসেরা হয়েছিলেন আইসিসি ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়ের দুইয়ে থাকা গিল। প্রথম ভারতীয় হিসেবে তিনি দুবার এই পুরস্কার জিতলেন।
গত মাসের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিতে গিল বলেছেন, ‘সেপ্টেম্বর মাসে আইসিসি সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার জিততে পেরে আমি আনন্দিত। আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ভারতকে প্রতিনিধিত্ব করতে পারা ও দলের জন্য অবদান রাখতে পারা সম্মানের। আরও ভালো করতে ও দেশকে গর্বিত করতে এই পুরস্কার আমাকে অনুপ্রাণিত করবে।’
নিজের পারফরম্যান্স নিয়ে ২৪ বছর বয়সী ওপেনার বলেছেন, ‘দলের জন্য ভালো অবদান রাখতে পেরেছি, যে কারণে এশিয়া কাপ জয়ের সৌভাগ্য হয়েছে। এরপর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেও আমরা ওয়ানডে সিরিজ জিতেছি। আসলে আমি সুযোগটা নিতে চেয়েছি। আমার সতীর্থ, পরিবার ও কোচদের ধন্যবাদ; যাঁদের ছাড়া এই অর্জন সম্ভব হতো না।’