‘জিতে গেলে হিপ হিপ হুররে শুনবে তুমি/ হেরে গেলেই শেম শেম/ ইটস এ গেম, ইটস এ গেম’—সত্যি, খেলা তো নচিকেতা চক্রবর্তীর গানের এ কথাগুলোর মতোই। বাবর আজম এখন আরও ভালোভাবে এটা টের পাচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হেরে যাওয়ার পর চারদিক থেকে সমালোচনার তির ধেয়ে যাচ্ছে পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের দিকে। বিশেষ করে অধিনায়ক বাবর আজমের সমালোচনাই হচ্ছে বেশি।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে অঘটনের শিকার হওয়া পাকিস্তান আগামীকাল বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় নিউইয়র্কে পরের ম্যাচটি খেলতে নামবে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের বিপক্ষে এ ম্যাচের আগে বাবররা যে বেশ চাপে আছেন, সেটা না বললেও চলে। এমন একটি ম্যাচের আগে পূর্বসূরিদের কাছ থেকে চাপ সামলানোর পরামর্শ পাবেন কী, পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটাররা এখনো বাবর আর তাঁর দলকে তুলাধোনা করছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সেই হার নিয়ে!
পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক মিসবাহ–উল হকও এর বাইরে নন। যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে বাবরের নেতৃত্ব তাঁর কাছে মনে হয়েছে ‘দিগ্ভ্রান্ত’। শুধু বাবরের নেতৃত্ব কেন, পাকিস্তান দলের কোনো কিছুই ঠিক নেই বলে মনে করেন মিসবাহ। এমন একজন অধিনায়কের অধীনে দল যে রকম খেলছে, সেটা দেখে মিসবাহর মনে হচ্ছে—পাকিস্তান দল যেন সবকিছু আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছে!
মিসবাহ টেন স্পোর্টসে বলেছেন, ‘দল ঘোষণার পরই আমরা দেখেছি যে কোনো ভারসাম্য নেই। তোমার একজন ফাস্ট বোলিং অলরাউন্ডার নেই। কন্ডিশন বলছে যে একজন স্পিনার খেলাও, কিন্তু তুমি তা করোনি। এটা খুবই নিষ্প্রভ (নেতৃত্ব)। দেখে মনে হচ্ছে, আমরা সবকিছু আল্লাহর ওপর ছেড়ে দিয়েছি এবং আমরা (প্রতিপক্ষকে) আমাদের ওপর ছড়ি ঘোরাতে দিচ্ছি। বাবর বলেছে, তারা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে ব্যর্থ হয়েছে। আমি তো বলব, কোনো পরিকল্পনাই ছিল না।’
বিশ্বকাপ শুরু হতে না হতেই পাকিস্তান যে বিপদে পড়ে গেল, তারা সুপার এইটে উঠতে পারবে কি না, সেটা নিয়ে সংশয় তৈরি হলো, আরও অনেক সমস্যা বেরিয়ে এল—এসবের মূল কারণ অবশ্য পাকিস্তানের ক্রিকেটের সাম্প্রতিক সময়ের অস্থিরতাই বলে মনে করেন মিসবাহ।
এ বিষয়ে তাঁর কথাগুলো এ রকম, ‘গত ছয় মাসে পর্দার আড়ালে কী সব ঘটেছে দেখুন। ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর বোর্ড চেয়ারম্যানের পদটি হয়ে উঠেছিল মিউজিক্যাল চেয়ার। এরপর অধিনায়কত্বের ক্ষেত্রেও তা–ই হয়েছে।’