৩৪৫ রান করেও সেদিন জিততে পারেনি পাকিস্তান
৩৪৫ রান করেও সেদিন জিততে পারেনি পাকিস্তান

বিশ্বকাপে ম্যাচ জিততে হলে পাকিস্তানকে ৪০০ রান করতে হবে

এশিয়া কাপে ব্যর্থতার পর বিশ্বকাপের প্রথম প্রস্তুতি ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৩৪৫ রান করেও হার। পাকিস্তান দল যেন বিশ্বকাপ শুরুর আগে একটু অস্বস্তিতেই আছে। এমন পারফরম্যান্স দলের আত্মবিশ্বাসেও চিড় ধরাতে পারে। বিশেষ করে প্রস্তুতি ম্যাচে বড় সংগ্রহ গড়েও দলের জিততে না পারা ভাবাচ্ছে পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক রমিজ রাজাকে।বোলিং যদি এমন নির্বিষ থাকে, তবে জেতার জন্য পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানদের ৪০০ রান করতে হবে বলেও মন্তব্য করেছেন রমিজ।

পরশু হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাবর আজম। সেই সিদ্ধান্ত যে ভুল ছিল না, সেটা তাঁর ব্যাটসম্যানরা প্রমাণও করেছেন। মোহাম্মদ রিজওয়ানের সেঞ্চুরি ও অধিনায়ক বাবরের ৮০ রানের ইনিংস আর সৌদ শাকিলের ৫৩ বলে ৭৫ রানের ইনিংসে ৩৪৫ রানের বড় সংগ্রহ গড়েছিল পাকিস্তান।

কিন্তু ব্যাটসম্যানদের এমন দুর্দান্ত ব্যাটিং ম্লান হয়েছে বোলারদের হতাশাজনক পারফরম্যান্সে। ছয় মাসের মধ্যে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে দারুণ ব্যাটিং করেছেন কেন উইলিয়ামসন। আহত আউট হয়ে ফেরার আগে করেছেন ৫০ বলে ৫৪ রান। রাচিন রবীন্দ্র করেন ৭২ বলে ৯৭ রান। নিউজিল্যান্ড ম্যাচ জেতে ৩৮ বল ও ৫ উইকেট হাতে রেখে। দলের এই পারফরম্যান্স বিশ্বকাপ শুরুর আগে রমিজের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে।

পিসিবির সাবেক প্রধান বলেছেন, ‘আমি জানি, এটা শুধুই একটা প্রস্তুতি ম্যাচ ছিল। কিন্তু জয় সব সময় জয়ই। আর জেতা একটা অভ্যাসের ব্যাপার। কিন্তু আমার মনে হচ্ছে পাকিস্তান এখন হারার অভ্যাসের মধ্যে ঢুকে গেছে। তারা প্রথমে এশিয়া কাপে হারল। আর এবার ৩৪৫ রান করেও হারল। তাদের (নিউজিল্যান্ড) রান তাড়া করে জেতাটা দারুণ ছিল।’

সাবেক পাকিস্তানি ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার রমিজ রাজা

এ সময় নির্বিষ বোলিং আক্রমণের সমালোচনা করে রমিজ আরও বলেছেন, ‘যদি উইকেট এমন হয়, অবশ্য ভারতের উইকেট সব সময় এমনই, আর বোলাররা যদি এভাবে ব্যর্থ হতে থাকে, তবে ব্যাটস্যানদের এই উইকেটে ৪০০ রান করতে হবে। পাকিস্তানকে এখন কৌশলে পরিবর্তন আনতে হবে এবং ঝুঁকি নিতে হবে। আমরা তা করছি না। আমরা প্রথম ১০–১৫ ওভার রক্ষণাত্মকভাবে খেলছি, তারপর আক্রমণে যাচ্ছি।’

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সেই ম্যাচে অবশ্য দলের প্রধান বোলার শাহিন শাহ আফ্রিদি ছিলেন না। যা অবশ্য হারিস রউফ এবং নাসিম শাহর বদলে সুযোগ পাওয়া হাসান আলিকে জ্বলে ওঠার মঞ্চ তৈরি করে দিয়েছিল। কিন্তু হারিস–হাসানরা তা করে দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন। এখন বিশ্বকাপের মূল আসরে এই বোলাররা নিজেদের সেরা ছন্দে ফিরলেই সেটা পাকিস্তানের জন্য স্বস্তির হবে।