মিচেল জনসনের দুটি বক্তৃতা বাতিল করেছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। এর এক সপ্তাহ পর তাঁকে অ্যাওয়ার্ডস নাইটে আমন্ত্রণ জানানোয় বোর্ডের ওপর ক্ষোভ ঝেড়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই ফাস্ট বোলার।
গত সপ্তাহে পার্থ টেস্টে অতিথি বক্তা হিসেবে দুটি অনুষ্ঠানে থাকার কথা ছিল জনসনের। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার এবং প্রধান নির্বাচক জর্জ বেইলিকে নিয়ে বিতর্কিত কলাম লেখায় জনসনের বক্তৃতা বাতিল করেছিল সিএ।
অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট–গ্রীষ্মে রেডিও ‘ট্রিপল এম’–এ ধারাভাষ্য দিচ্ছেন জনসন। তবে তাঁর পারিশ্রমিকের বিনিময়ে দেওয়া বক্তৃতা বোর্ড বাতিল করার পর থেকে চুপই ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৭৩ টেস্টে ৩১৩ উইকেট নেওয়া বাঁহাতি এ পেসার। কিন্তু ২০২৪ অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট অ্যাওয়ার্ডসে নিমন্ত্রণ পাওয়ার পর আর চুপ করে থাকেননি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ইনস্টাগ্রামে নিমন্ত্রণপত্রের স্ক্রিনশট এবং যুক্তরাষ্ট্রের রকব্যান্ড ‘রেজ অ্যাগেইনস্ট দ্য মেশিন’–এর গান ‘টেক দ্য পাওয়ার ব্যাক’ পোস্ট করে লিখেছেন, ‘ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া কি সিরিয়াস? গত সপ্তাহে আমার দুটি বক্তৃতা বাতিল করা হলো। আর এ সপ্তাহে তাদের সঙ্গে উদ্যাপনে যোগ দিতে আমাকে নিমন্ত্রণ করা হয়েছে।’ সঙ্গে কয়েকটি হাসির ইমোজিও জুড়ে দিয়েছেন তিনি।
অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম ‘ওয়েস্ট অস্ট্রেলিয়ান’–এ লেখা কলামে টেস্ট ক্রিকেট থেকে ওয়ার্নারকে নায়কোচিত বিদায় দিতে অস্ট্রেলিয়ার প্রস্তুতির সমালোচনা করেছিলেন জনসন। এ নিয়ে তিনি ২০১৮ সালে কেপ টাউন টেস্টে বল টেম্পারিং কেলেঙ্কারিতে ওয়ার্নারের ভূমিকার প্রসঙ্গও টানেন। প্রধান নির্বাচক বেইলিকেও ছেড়ে কথা বলেননি জনসন। ওয়ার্নারের ভবিষ্যৎ ঠিক করতে বেইলির ভূমিকা স্বার্থের সংঘাত ঘটাচ্ছে বলেও মন্তব্য করেন ৪২ বছর বয়সী সাবেক এ ক্রিকেটার।
জনসন এ কলাম লেখার পর ভীষণ সমালোচনার শিকার হন। পাকিস্তানের বিপক্ষে পার্থে প্রথম টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসে ১৬৪ রানের ইনিংস খেলে ব্যাট হাতেও সমালোচনার জবাব দেন ওয়ার্নার। ২৬ ডিসেম্বর থেকে মেলবোর্নে শুরু হবে দ্বিতীয় টেস্ট। এরপর আগামী বছরের ৩ জানুয়ারি সিডনিতে শুরু হবে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্ট। সিডনি টেস্ট দিয়ে এই সংস্করণে অবসর নেওয়ার ঘোষণাটা আগেই দিয়ে রেখেছেন ওয়ার্নার।
জনসন পরে স্বীকার করেন, এর আগে ওয়ার্নার ও বেইলির কাছ থেকে বার্তা পাওয়ার পর ব্যক্তিগত ক্ষোভ থেকে কলামটি লিখেছিলেন। সাংবাদিক ভরত সুন্দরশনের সঙ্গে নিজের পডকাস্ট ‘মিচেল জনসন ক্রিকেট শো’তে জনসন বলেছেন, ‘আমি তাকে ফোন করে এ নিয়ে কথা বলার চেষ্টা করেছি। সাধারণত আমি সবার সঙ্গেই এমন খোলামেলা। তখন পর্যন্ত এটা মোটেও ব্যক্তিগত ব্যাপার ছিল না। কিন্তু ওই ব্যাপারটি পরে আমার নিবন্ধ লেখায় ভূমিকা রেখেছে।’
ওয়ার্নার এরপর আর কিছু বলেননি। তাঁর যুক্তি, জনসন নিজের খেয়ালখুশিমতো কথা বলতে পারেন। অবশ্য শতকের পর জনসনের মতো সমালোচকদের ‘চুপ’ করার ইঙ্গিতও দেন তিনি।