৬ অক্টোবর নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলেছে পাকিস্তান
৬ অক্টোবর নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচ খেলেছে পাকিস্তান

ভারতের ভিসা পাচ্ছেন না পাকিস্তানের সংবাদকর্মী–সমর্থকেরা

পাকিস্তানের বিশ্বকাপ এরই মধ্যে শুরু হয়ে গেছে। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় দিনে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে খেলেছেন বাবর আজমরা। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে আছে আরও দুটি ম্যাচ। অথচ এখনো ভারতে যাওয়ার ভিসা পাননি পাকিস্তানের সংবাদকর্মী ও সমর্থকেরা।

এ নিয়ে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসির কাছে হতাশা প্রকাশ করেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। জবাবে আইসিসি জানিয়েছে, পাকিস্তানের সংবাদকর্মীদের ভিসাপ্রদান প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে ভারতের ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।

ভারতের বার্তা সংস্থা পিটিআইয়ের সূত্রে ক্রিকইনফো জানিয়েছে, হায়দরাবাদে পাকিস্তান–নেদারল্যান্ডস ম্যাচে স্থানীয় অনেকেই বাবরদের সমর্থন দিয়েছেন। কিন্তু গ্যালারিতে পাকিস্তানি সমর্থকদের দেখা যায়নি। পাকিস্তানের সংবাদকর্মীরাও অনুপস্থিত ছিলেন। বিশ্বকাপ কাভার করতে আনুমানিক ৬০ জন পাকিস্তানি সংবাদকর্মী ভারতের ভিসা আবেদন করেছেন।

আইসিসির এক মুখপাত্র পিটিআইকে বলেছেন, ‘আমাদের আয়োজকের (ভারত) ভিসা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আমাদের সব রকম সমর্থন নিয়ে তারা (বিসিসিআই) এ জন্য জোর চেষ্টাও করছে। এটার সমাধানে সব রকম চেষ্টাই করা হচ্ছে।’

১৪ অক্টোবর বিশ্বকাপে ভারতের মুখোমুখি হবে পাকিস্তান। এই ম্যাচ দেখতে পাকিস্তান থেকে প্রচুরসংখ্যক সমর্থক ভারতে যাওয়ার অপেক্ষায় আছেন। পিসিবির আশা, ভারত–পাকিস্তান ম্যাচের আগেই ভিসা সমস্যার সমাধান করা হবে। পিসিবির এক মুখপাত্র বলেছেন, ‘তিন বছর ধরেই আমরা আইসিসিকে সমর্থক ও সাংবাদিকদের ভিসার ব্যাপারে তাদের দায়বদ্ধতা ও সদস্যদেশগুলোর মধ্যে হওয়া সমঝোতার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছি, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে নিজেদের ভাবনার কথাও জানিয়ে যাচ্ছি।’

হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে ছিলেন করাচিতে জন্ম নেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক মোহাম্মদ বশির

নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে পাকিস্তানের প্রথম ম্যাচের আগে পিসিবির সেই মুখপাত্র আরও বলেছেন, ‘বিশ্বকাপে পাকিস্তানের প্রথম ম্যাচ কাভার করতে পাকিস্তানের সংবাদকর্মী ও সমর্থকদের ভিসা পাওয়ার অনিশ্চয়তা দেখে পিসিবি হতাশ। খেলাধুলার ইভেন্টকে আরও জমজমাট করতে সমর্থক ও সংবাদকর্মীদের ভূমিকা এবং গুরুত্বটা আমরা বুঝি।’

পিটিআইয়ের খবরে বলা হয়, ভারতের তালিকায় পাকিস্তান পিআরসি (প্রায়র রেফারেন্স ক্যাটাগরি) তালিকায় আছে। যে কারণে একজন পাকিস্তানি পাসপোর্টধারী নাগরিককের ভিসা আবেদন ভারতের স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে যাচাই করা হয়।
এর আগে বিশ্বকাপ খেলতে ভারতে যেতে পাকিস্তান জাতীয় দলের খেলোয়াড়েরাও ভিসা জটিলতার সন্মুখীন হয়েছিলেন। পাকিস্তান দলের নির্ধারিত ভ্রমণসূচি শুরুর মাত্র ৪৮ ঘণ্টা আগে ভিসা মঞ্জুর করেছিল ভারত সরকার।