প্লে–অফের চার দল নিশ্চিত হয়েছে আগেই। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের জন্য আজকের ম্যাচ থেকে তাই অর্জনের তেমন কিছু ছিল না। তবু চট্টগ্রামের কোচ জুলিয়ান উডের আশা, প্লে–অফে জায়গা না পেলেও পয়েন্ট তালিকার পাঁচে থেকে বিপিএল শেষ করবে তাঁর দল। ওদিকে কুমিল্লার চোখ পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ দুইয়ে থাকা।
সে জন্য আজ চট্টগ্রামকে হারাতেই হতো ইমরুল কায়েসের দলকে। যেটা মোহাম্মদ রিজওয়ানের সৌজন্যে সহজেই করতে পেরেছে ভিক্টোরিয়ানস। চট্টগ্রামের করা ৭ উইকেটে ১৫৬ রান তুলে ১ ওভার ও ৬ উইকেট হাতে রেখে টপকে গেছে কুমিল্লা। রান তাড়ায় অবশ্য কুমিল্লার শুরুটা ভালো হয়নি। চোটের কারণে এ ম্যাচে বিশ্রামে থাকা লিটন দাসের অবর্তমানে ইনিংস শুরু করতে নামা সৈকত আলী ১৫ রান করে আউট হন। ইমরুল কায়েস (১৫) ও জনসন চার্লসের (৯) ইনিংসও বড় হয়নি।
তবে মোসাদ্দেক হোসেনের সঙ্গে ৪৭ বলে ৭৬ রানের জুটি গড়ে ক্ষতিটা পুষিয়ে দিয়েছেন রিজওয়ান। মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরীর লাফিয়ে ওঠা বলে আউট হওয়ার আগে রিজওয়ানের ব্যাট থেকে এসেছে ৪৭ বলে ৬১ রানের ইনিংস, মেরেছেন ৫টি চার ও ২টি ছক্কা। রিজওয়ান ফিরে গেলেও ম্যাচ শেষ করে আসেন মোসাদ্দেক। ২৭ বলে ৩৭ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।
রিজওয়ানের মতো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ইনিংসও নিয়ন্ত্রণ করেছেন আফিফ হোসেন। তাঁকে সঙ্গ দিয়েছেন উসমান খান। দুজনের জোড়া ফিফটিতে যা একটু প্রতিযোগিতা করার মতো রান পেয়েছে দলটি। দলীয় ৬ রানের সময় টপ অর্ডারের দুই ব্যাটসম্যানকে হারায় চট্টগ্রাম। কুমিল্লার বাঁহাতি স্পিনার তানভীর ইসলামের প্রথম স্পেলে দ্রুতই আউট হয়ে যান মেহেদী মারুফ ও খাজা নাফি।
সেই ৬৪ বলে ৮৮ রান যোগ করে বিপদ সামলেছেন আফিফ ও উসমান জুটি। তাঁদের জুটির শুরুটা ধীর গতির হলেও পরে সেটা পুষিয়ে দেন চার-ছক্কায়। সৈকত আলীর বলে আউট হওয়ার আগে উসমানের ব্যাট থেকে এসেছে ৪১ বলে ৫২ রানের ইনিংস। এর আগে এবারের বিপিএলে একটি সেঞ্চুরিও করেছেন উসমান।
আফিফের ব্যাট থেকে এসেছে ৬৬ রানের ইনিংস। ৪৯ বলের ইনিংসে ৬টি চার ও ২টি ছক্কা মেরেছেন তিনি। তবে চট্টগ্রামের রানটাকে দেড় শতাধিকের ওপরে নিয়েছেন দারউইশ রাসুলি। ৮ নম্বরে নেমে ৯ বল খেলে অপরাজিত ২১ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন এই আফগান ক্রিকেটার। কুমিল্লার হয়ে দুটি করে উইকেট নিয়েছেন হাসান আলী ও তানভীর।