ম্যাচ জয়ের পর দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান আফিফ ও দারউইশ রাসুলি হাত মেলাচ্ছেন
ম্যাচ জয়ের পর দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান আফিফ ও দারউইশ রাসুলি হাত মেলাচ্ছেন

আফিফের অর্ধশতক আর রাসুলি–ঝড়ে চট্টগ্রামের জয়

লক্ষ্য খুব বেশি বড় ছিল না। কিন্তু উইকেটের আচরণ হাত খুলে মেরে খেলার স্বাধীনতাও দিচ্ছিল না। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের আফিফ হোসেন তবু রান করার উপায় খুঁজে নিয়েছেন। ঢাকা ডমিনেটরসের বোলারদের ওপর দাপট দেখিয়ে আফিফ খেলেছেন ৫২ বলে ৬৯ রানের অপরাজিত ইনিংস। অন্য প্রান্তে ৩৩ বলে ৫৬ রানের ঝোড়ো ইনিংসে তাঁকে সঙ্গ দিয়েছেন দারউইশ রাসুলি। ঢাকার ১৫৮ রান চট্টগ্রাম ৮ উইকেট হাতে রেখে টপকে গেছে এ দুজনের সৌজন্যে। এবারের বিপিএলে এটি চট্টগ্রামের দ্বিতীয় জয়।

২০ ওভারের খেলায় ছন্দেই ছিলেন আফিফ। ৫ ইনিংস আগেই জাফনা কিংসের হয়ে লঙ্কান প্রিমিয়ার লিগে ৩৫ বলে ৫৪ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেছিলেন। তবে বিপিএল অর্ধশতকের জন্য আফিফের অপেক্ষা করতে হয়েছে তিন বছর। এর আগে ২০১৯ সালের বিপিএলে রাজশাহী রয়্যালসের হয়ে অর্ধশতক করেছিলেন আফিফ।

৩ বছর পর বিপিএলে অর্ধশতক পেলেন আফিফ হোসেন

আজ দুই ওপেনারের বিদায়ের পর আফিফ ও রাসুলি ৬৩ বলে ১০৩ রানের জুটি গড়েন। রাসুলি ইনিংসের শুরুতে মন্থর ব্যাটিং করলেও শেষের দিকে চার-ছক্কায় সেটি পুষিয়ে দিয়েছেন। প্রথম ২৫ বল খেলে প্রথম ১৯ রান করেছেন এই আফগান ব্যাটসম্যান। এর পরের ৮ বলে ৩৭ রান করে ১৭.৪ ওভারে ম্যাচ শেষ করেন তিনি।

সেই তুলনায় ঢাকার ইনিংসটা এগিয়েছে ধীর গতিতে। টস জিতে ইনিংসের ৯.২ ওভার পর্যন্ত ঢাকা কোনো উইকেট হারায়নি। কিন্তু রান এসেছে মাত্র ৬০। এবারের বিপিএলে প্রথম ম্যাচ খেলতে নেমে মিজানুর রহমান ৩৩ বল খেলে করেছেন ২৮ রান। আরেক ওপেনার উসমান গণি অবশ্য সেই তুলনায় দ্রুত রান তুলেছেন। আউট হওয়ার আগে ৩৩ বলে ৪৭ রান করেছেন তিনি। ৪টি ছক্কা আর ২টি চার ছিল তাঁর ইনিংসে।

ঢাকাকে হারানোর পর আফিফের উচ্ছ্বাস

এরপর নাসির হোসেন ও আরিফুল হকের জুটি ঢাকাকে লড়াকু সংগ্রহ এনে দেয়। ২২ বল খেলে ৩০ রান করে আউট হন নাসির। এরপর আরও ২৩ রান যোগ করে ঢাকা। যার ১৯ রানই এসেছে আরিফুলের ব্যাট থেকে। ১৮ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় অপরাজিত ২৯ রান করেন তিনি।