বাংলাদেশ জাতীয় দলের পেসার ইবাদত হোসেন
বাংলাদেশ জাতীয় দলের পেসার ইবাদত হোসেন

অন্যদের বোলিং করতে দেখলে কষ্ট লাগে ইবাদতের

হাঁটুর চোটের কারণে গত বছরের জুলাই থেকে মাঠের বাইরে ইবাদত হোসেন। যে কারণে ক্যারিয়ারের সেরা ছন্দে থেকেও এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ খেলা হয়নি এই ফাস্ট বোলারের। বিসিবির মেডিকেল বিভাগ বলছে, হাঁটুতে অস্ত্রোপচার হওয়া ইবাদতের মাঠে ফিরতে আরও সাত-আট মাস লেগে যেতে পারে।

ইবাদতের আশা, আগামী জুনে হতে যাওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগেই মাঠে ফিরতে পারবেন তিনি। আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের একাডেমি ভবনের সামনে সাংবাদিকদের তিনি এ আশার কথা শুনিয়েছেন, ‘আমি তো আশা করি বিশ্বকাপের আগেই ফিরব, ইনশা আল্লাহ।’

গত জুলাইয়ে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বোলিং করতে গিয়ে আম্পায়ারের সঙ্গে ধাক্কা লেগে চোটে পড়েন ইবাদত। এরপর গত বছরের ৩০ আগস্ট ডানহাতি এ পেসারের হাঁটুতে অস্ত্রোপচার করা হয়। এখন তিনি পুনর্বাসনপ্রক্রিয়ায় আছেন। ইবাদত কবে পুরোদমে বোলিং করবেন, তা নির্ভর করছে পুনর্বাসনের ওপর।

পুনর্বাসনের বর্তমান অবস্থা জানিয়ে ইবাদত বললেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, যেভাবে যাচ্ছে, খুব ভালো যাচ্ছে। সবচেয়ে বড় জিনিস হচ্ছে, যেভাবে মেডিকেল বিভাগ সাপোর্ট দিচ্ছে…রিহ্যাবটা খুব ভালো করছি। স্ট্রেংথ ফিরে পাচ্ছি। আশা করি, সামনে ভালো কিছুই হবে।’

নিজের পুনর্বাসন নিয়ে তাড়াহুড়া করতে চান না ৩০ বছর বয়সী এই ফাস্ট বোলার, ‘তাড়াহুড়া করছি না। আমি যে প্রক্রিয়া অনুসরণ করছি, খুব ভালোভাবে এগোচ্ছি। গত পরশু আমার দুই পায়ের মাপ নেওয়া হয়েছে, মাসলের। আলহামদুলিল্লাহ, খুব ভালোই রিকভার হয়েছে। এ জন্যই মনে হচ্ছে, কষ্ট যেটা করছি সেটার ফলটা খুব ভালো পাচ্ছি।’

গত পরশু মিরপুর স্টেডিয়ামের মূল মাঠে এক জায়গায় দাঁড়িয়ে বোলিং করতে দেখা গেছে ইবাদতকে। সঙ্গে ছিলেন আরেক পেসার খালেদ আহমেদ। খেলাটা মিস করছেন বলেই কিছু সময় বল হাতে নিয়েছিলেন বলে জানান ইবাদত। অন্যদের বোলিং করতে দেখাও এখন ইবাদতের জন্য কষ্টকর, ‘খেলোয়াড়, কিন্তু খেলতে পারছি না। ওরা বোলিং করছে, ম্যাচ খেলছে। কষ্ট লাগবেই। স্বাভাবিক। মনে হয় একটু বল ধরি, একটু বোলিং করি। এ জন্য সেদিন দাঁড়িয়ে একটু বোলিং করা।’

দ্রুতই বোলিংয়ে ফিরবেন, এ আশা ইবাদতের মুখে হাসি ফোটায়, ‘বোলিংটা এখনো শুরু হয়নি। আস্তে আস্তে দৌড়ানো শুরু করব। এরপর একটু একটু করে বোলিং।’