গত নভেম্বর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিলেট টেস্টে জয় দিয়ে পূর্ণ মেয়াদে অধিনায়কত্ব শুরু হয় নাজমুল হোসেনের। আজ সেই সিলেটেই শ্রীলঙ্কার কাছে ৩২৮ রানে হেরেছে নাজমুলের বাংলাদেশ।
দুই ইনিংসেই বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হয়েছেন। দুই ইনিংসে নতুন বলে ভালো বোলিং করলেও বল পুরোনো হওয়ার পর জুটি ভাঙতে পারেননি বোলাররা। ক্যাচিং ভালো হয়নি, রিভিউ নেওয়ার ক্ষেত্রেও সুযোগ হাতছাড়া হয়েছে বাংলাদেশের। সব মিলিয়ে নাজমুলের জন্য সিলেট টেস্ট ছিল ভুলে যাওয়ার মতো এক অভিজ্ঞতা।
এমন হারের পর অধিনায়ক নাজমুল স্বাভাবিকভাবেই নিজেদের ভুল থেকে শেখার কথা বলেছেন। কিন্তু টেস্ট ক্রিকেটে ‘শিখতে চাওয়ার’ আশ্বাস বাংলাদেশ দলের খেলোয়াড়েরা দীর্ঘদিন ধরেই দিয়ে আসছেন। সেই অর্থে বাংলাদেশ দলের উন্নতি কতটা দৃশ্যমান, সে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
এ ক্ষেত্রে নাজমুলের দৃষ্টিভঙ্গি অবশ্য ভিন্ন, ‘নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলার সময় শুনেছিলাম আমরা অনেক উন্নতি করছি, ভালো করছি, আগের চেয়ে অনেক কিছু পরিবর্তন হয়েছে। এটা আপনাদের কাছ থেকেই অনেক সময় শুনেছি। তাই এমন না যে একদমই পরিবর্তন হয়নি। এটা বলতে পারি যে পরিবর্তন কম হয়েছে। এখন থেকে যেন আরও বেশি উন্নতি হয়। উন্নতি হয়তো ধীরে হচ্ছে। কিন্তু হয়নি এমন নয়।’
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ ড্র করতে হলে বাংলাদেশকে চট্টগ্রাম টেস্টে জিততে হবে। কিন্তু চট্টগ্রামের উইকেটে জয়, হারের সঙ্গে আছে ড্রয়ের সম্ভাবনাও। ড্রয়ের জন্য নিরাপদ ক্রিকেট খেলার সুযোগও থাকে সাগরিকায়। কিন্তু নাজমুল নিরাপদ ক্রিকেট খেলতে চান না। তাঁর লক্ষ্য জয়, ‘আমি অধিনায়ক হিসেবে নিরাপদ ক্রিকেট খেলতে চাই না। পরের ম্যাচ জেতার জন্যই খেলব এবং সেই অনুযায়ী প্রস্তুতি নেব, পরিকল্পনা করব।’
চট্টগ্রাম টেস্ট দিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারেন সাকিব আল হাসান। গত বছর আগস্টে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্ট খেলেছেন তিনি। তাঁর দলে ফেরাকে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন নাজমুল, ‘সিনিয়র প্লেয়ার থাকলে তো অবশ্যই স্বস্তি থাকে। সাকিব ভাইয়ের মতো খেলোয়াড় যদি দলে আসে, প্রত্যেক খেলোয়াড়ের জন্য ভালো হয়। তার অভিজ্ঞতা আমাদের দলকে অনেক সহায়তা করবে। যদি ফেরেন, তাহলে ভালোই হবে।’