অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে রশিদের বার্তা
অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে রশিদের বার্তা

অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়ে রশিদের হুংকার, ‘এটা মাত্র শুরু’

গত বছরের ওয়ানডে বিশ্বকাপে খুব কাছে গিয়েও অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারেনি আফগানিস্তান। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের অতিমানবীয় এক ইনিংস চুরমার করে দিয়েছিল আফগানদের সব স্বপ্ন। আজ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সুপার এইটের ম্যাচেও আফগানদের জয়ে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন সেই ম্যাক্সওয়েল। কিন্তু অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার আর ভুল করেনি আফগানিস্তান।

২১ রানে ম্যাচ জিতে নিয়ে পুরোনো হিসাবটাই যেন সমান করে দিল তারা। ম্যাচ শেষে আফগান অধিনায়ক রশিদ খান বলেছেন, দুই বছর ধরে এ জয়টাই মিস করছিলেন তাঁরা। পাশাপাশি এটা যে মাত্র শুরু, সেটাও মনে করিয়ে দিলেন তিনি। একই সঙ্গে বলেছেন সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্নের কথাও।

বিশ্বকাপের সুপার এইটে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এই জয়ের মাহাত্ম্য কেমন, তা জানতে চাইলে রশিদ বলেছেন, ‘এটা দল ও দেশের জন্য অনেক বড় একটি জয়। অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর অনুভূতি দারুণ। এটা এমন কিছু, যা আমরা ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপে করতে পারিনি, এমনকি অস্ট্রেলিয়ায় ২০২২ বিশ্বকাপেও করতে পারিনি।’

অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর পর এখন আফগানিস্তানের সেমিফাইনালে খেলার দারুণ সুযোগ আছে। রশিদও এখন সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্নে বিভোর, ‘এটা আমাদের দেশের জন্য এবং বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা সমর্থকদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি জয়। আফগানরা পৃথিবীর যেখানেই থাকুক, তারা এমন একটি জয়ের অপেক্ষায় ছিল। খুবই মিস করছিল। তবে এটা আমাদের জন্য মাত্র শুরু। সেমিফাইনালে খেলার সব সুযোগ আমাদের আছে।’

ঐতিহাসিক এক জয় পেয়েছে আফগানিস্তান

গ্রুপ পর্বে আফগানিস্তানের হয়ে ওপেনিং করেছিলেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিম জাদরান। পরে ভারতের বিপক্ষে সুপার এইটের প্রথম ম্যাচে জাদরানের পরিবর্তে ওপেন করেন হজরতউল্লাহ জাজাই। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আবারও ফিরে আসেন জাদরান। আজ আফগানদের হয়ে দুই ওপেনারই করেছেন ফিফটি। জুটি গড়েছেন ১১৮ রানের। এ দুজনের জুটিই মূলত বদলে দিয়েছে ম্যাচের গতিপথ।

জাদরানকে ফিরিয়ে আনা নিয়ে রশিদ বলেছেন, ‘একই একাদশে ফিরে যাওয়া আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ছিল। প্রতিপক্ষ কে, সেটাও একটা ব্যাপার। আমরা নিজেদের সেরা একাদশ খেলাতে চাইছিলাম। ভারত ম্যাচেও একই কারণে পরিবর্তন এনেছিলাম। কিন্তু আজ আমরা আবার গ্রুপ পর্বে খেলা একাদশে ফিরে গেছি।’

১৪৮ রান বড় সংগ্রহ না হলেও রশিদের বিশ্বাস ছিল তাঁরা জিততে পারবেন, ‘আমরা ভেবেছি, ১৪০ রান এখানে ভালো সংগ্রহ। ব্যাট হাতে আমরা ভালোভাবে শেষ করতে পারিনি। কিন্তু এ ধরনের উইকেটে আপনি সব সময় সংগ্রাম করবেন। শেষ দিকে আমরাও সংগ্রাম করেছি। তবে শুরুটা ভালোভাবে হওয়ায় আমরা এ সংগ্রহটা পেয়েছি। আমরা জানতাম, যদি শান্ত থাকি, তবে এই রান নিয়ে জিততে পারব।’

এই ম্যাচে আফগানিস্তানের জয়ের অন্যতম নায়ক গুলবদিন নাইব। ৪ ওভারে ২০ রান দিয়ে যিনি নিয়েছেন ৪ উইকেট। তাঁকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত রশিদ বলেছেন, ‘এটাই দলের সৌন্দর্য। দলে অনেক বেশি অলরাউন্ডার থাকায় বিকল্প পাওয়া যায়। তার (গুলবদিন) হাতে আপনি যখনই বল তুলে দেবেন, সে তা হাসিমুখে গ্রহণ করে। যেভাবে গুলবদিন বল করেছে, তার যে অভিজ্ঞতা, সেটা আজ দারুণ কাজে লেগেছে। সব মিলিয়ে দারুণ এক দলীয় প্রচেষ্টা ছিল। নবীকে ওয়ার্নারের গুরুত্বপূর্ণ উইকেটটি নিতে দেখাটা দারুণ ছিল।’