চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে খেলাটা আসলেই বাংলাদেশের প্রাপ্য নয়। বরং এখন কী করলে বাংলাদেশ একেবারে তলিয়ে যাওয়া থেকে বাঁচতে পারবে, সেটি খুঁজে বের করা দরকার। এ ম্যাচে ২৩ রানে প্রথম তিনটি এবং ১৯ রানে শেষ চারটি উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। এরপরও মিডল অর্ডারের কিছুটা প্রতিরোধের কারণে একসময় মনে হচ্ছিল ৫০ ওভার শেষে একটা চ্যালেঞ্জিং স্কোর দাঁড়াবে। কিন্তু শেষের দিকের ব্যাটসম্যানদের কাছে প্রতিপক্ষের রিভার্স সুইংয়ের কোনো উত্তরই ছিল না। তাই ৪৫.১ ওভারেই গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ।
এরপর সে আরও ব্যর্থতার বোঝা বইতে পারবে কি না, ভেবে দেখা দরকার। তাকে যত্ন করতে হবে, গড়ে তুলতে হবে যেন হারিয়ে না যায়। তৃতীয় ওপেনারের অভাবটা আরেকবার স্পষ্ট হলো।
৬৪ বল খেলে ৪৫ রান করার পরও স্বাচ্ছন্দ্যে খেলছিল বলে মনে হচ্ছিল না। ভীষণ চাপে থেকেও নিজেকে ধরে রাখার চেষ্টা ভালো লেগেছে, যদিও আউট হওয়ার মতো বল ছিল না ওটা।
দুর্ভাগ্যই বলতে হবে। নাজমুলকে বারবার প্রথম দুই-এক ওভারের মধ্যেই ব্যাটিংয়ে নামতে হচ্ছে। অবশ্য এ জায়গায় সফল হতে হলে টেকনিক ও টেম্পারামেন্টেও আরও আঁটসাঁট হতে হবে।
গতকালও সুযোগ ছিল প্রভাব বিস্তারকারী একটা ইনিংস খেলার। মুশফিক ও লিটনের জুটিটা দাঁড়িয়ে গেলে বাংলাদেশ হয়তো বড় একটা স্কোর গড়তে পারত।
এখন মনে হচ্ছে ও চারে খেললে আরও ভালো হতো। একমাত্র ব্যাটসম্যান যাকে দেখে কখনোই মনে হয়নি সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে। এখনই অবসরের কথা একেবারেই ভাবা উচিত নয়।
আরও কিছুক্ষণ নিরাপদ ব্যাটিং করে মিরাজকে নিয়ে জুটিটা আরও বড় করার চেষ্টা করা উচিত ছিল। তাতে হয়তো স্কোর কিছুটা চ্যালেঞ্জিং হতে পারত। বোলিং সাদামাটা।
তার ব্যাটিং পরিকল্পনা কী ছিল কিংবা আদৌ ছিল কি না, বুঝতে পারলাম না। নিজেকে গড়ে তোলার ও মেলে ধরার সুযোগের দারুণ অপচয়।
ভালো ব্যাটিং ফর্মে আছে। তবে তা আরও ভালোভাবে কাজে লাগানো উচিত। তার নিবেদনের ওপরই নির্ভর করবে ভবিষ্যতে মিরাজ কোন পর্যায় পর্যন্ত নিজেকে নিয়ে যেতে পারবে। বোলিংয়ে যথেষ্ট কার্যকর।
কিছু ভালো বল করলেও খুব একটা চাপে ফেলতে পারেনি প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের। বিশাল ছয়ের পরের প্রতিক্রিয়াটা কোচ ডোনাল্ডের পছন্দ না হওয়ারই কথা।
গত ম্যাচের তুলনায় বেশ সাদামাটা বোলিং। আরও কার্যকর হতে চাইলে বোলিংয়ের অনেক কিছু নিয়েই কাজ করতে হবে।
উইকেট নিতে চাওয়ার মানসিকতা অত্যন্ত ইতিবাচক। তবে তার জন্য প্রয়োজনীয় কৌশলগত জ্ঞান ও শৃঙ্খলা দুটোই অপরিহার্য।