ক্রিকেটার দম্পতি রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও উৎকর্ষা পাওয়ার
ক্রিকেটার দম্পতি রুতুরাজ গায়কোয়াড় ও উৎকর্ষা পাওয়ার

‘পিচ থেকে পিঁড়ি’, আরেক ক্রিকেটার দম্পতির যাত্রা শুরু

আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ভারতের রিজার্ভ খেলোয়াড়ের তালিকায় রাখা হয়েছিল তাঁকে। লন্ডনের ওভালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই সামনে রেখে এখন প্রস্তুতি নেওয়ার কথা তাঁর। কিন্তু রুতুরাজ গায়কোয়াড় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে (বিসিসিআই) কয়েক দিন আগে জানিয়ে দেন, ব্যক্তিগত কারণে লন্ডনে যেতে পারবেন না।

এরপর থেকেই জল্পনা চলছিল, কেন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের দল থেকে নিজেকে সরিয়ে নিলেন সদ্য চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে আইপিএল জেতা ওপেনার।
অবশেষে জানা গেল কারণ। মহেন্দ্র সিং ধোনির হাতে পঞ্চম আইপিএল ট্রফি তুলে দেওয়ার অন্যতম কারিগর (৪২.১৪ গড়ে ৫৯০ রান) রুতুরাজ বিয়ে করেছেন। গতকাল মহাবালেশ্বরের লা মেরিডিয়ান রিসোর্টে সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন ২৬ বছর বয়সী ব্যাটসম্যান।

তাঁর স্ত্রী উৎকর্ষা পওয়ার নিজেও একজন ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক-অ্যালিসা হিলির পর আরেকটি ক্রিকেটার দম্পতি পেল বিশ্ব।

আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে গত সোমবার গুজরাট টাইটানসকে শেষ বলে হারিয়ে চেন্নাই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর গায়কোয়াড়ের একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছিল।

ছবিতে দেখা যায়, চেন্নাইয়ের ড্রেসিংরুমে রুতুরাজ ও ধোনির সঙ্গে বসে আছেন এক নারী। ক্যাপশনে রুতুরাজ লেখেন, ‘আমার জীবনের দুই ভিআইপি। ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞ।’ পরে জানা যায়, সেই নারীই রুতুরাজের স্ত্রী উৎকর্ষা।

২৪ বছর বয়সী উৎকর্ষা খেলেন মহারাষ্ট্র নারী দলে। রুতুরাজের মতো তাঁর বাড়িও পুনেতে। দুজনের পরিচয় ও মন দেওয়া-নেওয়া অনেক আগে থেকেই। তবে উৎকর্ষা তাঁর স্বামীর মতো শুধু ব্যাটসম্যান নন; বরং অলরাউন্ডার। মিডিয়াম ফাস্ট বোলিংয়ের পাশাপাশি লোয়ার অর্ডারে ব্যাট করেন।

একসময় ফুটবল ও ব্যাডমিন্টন খেলতেন উৎকর্ষা। ক্রিকেটে হাতেখড়ি হয় ১১ বছর বয়সে। বয়সভিত্তিক দলে ভালো করার পর জায়গা পান মহারাষ্ট্রের মূল দলে। খেলাধুলার পাশাপাশি লেখাপড়াও সমানতালে চালিয়ে যাচ্ছেন উৎকর্ষা। পড়াশোনা করছেন পুষ্টি ও ফিটনেস বিজ্ঞান নিয়ে।

বিয়ের পর নবদম্পতি রুতুরাজ–উৎকর্ষা

মহারাষ্ট্রের চিরাচরিত প্রথা মেনেই বিয়ে করেছেন রুতুরাজ-উৎকর্ষা। বিয়ের সময় সবুজ শাড়ি পরেন উৎকর্ষা। ঘিয়ে রঙের কুর্তা পরেন রুতুরাজ। তবে রুতুরাজের পাগড়ি ও ওড়না ছিল সবুজ রঙের। পরে দুজনকেই সাদা পোশাকে দেখা গেছে। ভারতের হয়ে একটি ওয়ানডে ও ৯টি টি-টোয়েন্টি খেলা ব্যাটসম্যানের পোশাক নকশা করেছেন বিখ্যাত ফ্যাশন ডিজাইনার মনীশ মালহোত্রা। স্ত্রীর সঙ্গে বিয়ের বেশ কয়েকটি ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করে রুতুরাজ লিখেছেন, ‘ক্রিকেট পিচ থেকে বিয়ের পিঁড়িতে। আমাদের যাত্রা শুরু হলো।’

রুতুরাজের বিয়েতে এসেছিলেন চেন্নাই সুপার কিংস সতীর্থ শিবম দুবে

টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল খেলতে ভারতীয় দল এই মুহূর্তে লন্ডনে থাকায় রুতুরাজের বিয়েতে বড় তারকারা আসতে পারেননি। তবে তাঁর চেন্নাই সতীর্থ শিবম দুবে স্ত্রীকে সঙ্গে নিয়ে এসেছিলেন। পরে ইনস্টাগ্রামে ছবি পোস্ট করে দুবে লিখেছেন, ‘অভিনন্দন রুতুরাজ ও উৎকর্ষা। তোমাদের দাম্পত্য জীবন সুখের হোক।’