মঞ্চটা প্রস্তুতই ছিল। অপেক্ষা ছিল একটা জয়ের। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জোহানেসবার্গে গতকাল রাতে কাঙ্ক্ষিত সেই জয়টাই পেয়েছে পাকিস্তান। সাইম আইয়ুবের দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিতে পাওয়া এই জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে প্রথমবারের মতো ওয়ানডেতে ধবলধোলাই করেছে পাকিস্তান।
অন্যদিকে দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য এটি শুধু পাকিস্তানের কাছেই নয়, যেকোনো দলের বিপক্ষেই ওয়ানডেতে ঘরের মাঠে প্রথম ধবলধোলাই। বৃষ্টির কারণে ৪৭ ওভারে নেমে আসা ম্যাচে আগে ব্যাট করে পাকিস্তান তোলে ৯ উইকেটে ৩০৮ রান। তাড়া করতে নেমে ৪২ ওভারে ২৭২ রানে গুটিয়ে ৩৬ রানে হারে প্রোটিয়ারা।
দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে এর আগে দুবার ওয়ানডে সিরিজ জিতেছে পাকিস্তান। তবে ২০১৩ ও ২০২১ সালের তিন ম্যাচের সিরিজ দুটিতে এক ম্যাচ করে হেরে গিয়েছিল। কিন্তু এবার সেটিকে ছাড়িয়ে গেছে মোহাম্মদ রিজওয়ানের দল।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি আয়োজনের আগে প্রস্তুতিটা ভালোই হয়েছে পাকিস্তানের। গত মাসে অস্ট্রেলিয়াকে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে ২-১ ব্যবধানে হারিয়েছিলেন রিজওয়ানরা। তবে দলে চোটের হানাসহ নানা দিক বিবেচনায় দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩-০ ব্যবধানের সিরিজজয় বিশেষ কিছু।
জোহানেসবার্গে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় বলেই আবদুল্লাহ শফিকের উইকেট হারায় পাকিস্তান। কিন্তু এরপর দলকে আর বিপদে পড়তে না দিয়ে দারুণ এক জুটি গড়েন সাইম ও বাবর আজম। এ দুজন গড়েন ১১৪ রানের জুটি। ব্যক্তিগত ৫২ রান করে বাবর ফিরলেও থামেননি সাইম।
অধিনায়ক রিজওয়ানকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেন বড় সংগ্রহের দিকে। এর মধ্যে ৩৪তম ওভারে সিরিজে নিজের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তুলে নেন এই ওপেনার। সেঞ্চুরির পর অবশ্য বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি সাইম।
৯৪ বলে ১৩ চার ও ২ ছক্কায় ১০১ রান করে ফিরে যান করবিন বচের শিকার হয়ে। সাইমের সেঞ্চুরি ছাড়া ৫৩ রান করেন রিজওয়ান। আর ৩৩ বলে ঝোড়ো ৪৮ রান করেন সালমান আগা। পাকিস্তান থামে ৯ উইকেটে ৩০৮ রানে।
জবাবে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে হাইনরিখ ক্লাসেন আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ৪৩ বলে ১২ চার ও ২ ছক্কায় ৮১ রান করলেও বাকিরা থিতু হতে পারেননি। দলের হয়ে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন বচ। ফলে শেষ পর্যন্ত ২৭১ রানের বেশি সংগ্রহ করতে পারেনি স্বাগতিকেরা। পাকিস্তানের হয়ে সুফিয়ান মুকিম নেন ৫২ রান দিয়ে ৪ উইকেট।
ম্যাচসেরার পাশাপাশি দুই সেঞ্চুরিতে তিন ম্যাচ ৭৮.৩৩ গড়ে ২৩৫ রান করে সিরিজ সেরা হয়েছে সাইম। প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে তরুণ এ ওপেনার বলেন, ‘এটা আমার জন্য বিশেষ কিছু, কারণ, আমরা জিতেছি। কৃতিত্ব পুরো দলের। এই পুরস্কারও দলের সবার জন্য। তারা সবাই আমাকে এই পুরস্কার জিততে সাহায্য করেছে। তরুণ খেলোয়াড় হিসেবে আমি প্রতিটি ম্যাচ থেকে শেখার চেষ্টা করি। প্রতিটি ম্যাচে সিনিয়ররা আমাকে সাহায্য করেছেন।’