বাংলাদেশ-ভারত

তানজিম ৭.৫, সাকিব ৩

তৃতীয় পেস বোলারের না থাকা দলকে ভুগিয়েছে। পেস বোলারদের ওভার বাঁচানোর চেষ্টায় পাওয়ারপ্লেতে সাকিব আল হাসানকে দিয়ে বোলিং করানোটা ছিল ঝুঁকিপূর্ণ। এ কারণেই ভারত প্রাথমিক চাপটা উতরে যেতে পেরেছে। তানজিম হাসানের চোখে চোখ রেখে খেলার যে মানসিকতা, সেটি যত দ্রুত দলের অন্যদের মধ্যে সংক্রমিত হয় ততই মঙ্গল।

মেহেদী হাসান ৬/১০
পাওয়ারপ্লে ও মিডল ওভার মিলিয়ে ৪ ওভারে ২৮ রান। পিচ, কন্ডিশন ও ম্যাচের পরিস্থিতি বিবেচনায় বেশ মিতব্যয়ী বোলিং। তবে দলের জন্য উইকেট নেওয়াটাও জরুরি।

সাকিব আল হাসান ৩/১০
রোহিত শর্মার উইকেটটি পেলেও বোলিং ফর্ম বিবেচনায় পাওয়ারপ্লেতে বোলিং করানো ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। ব্যাটিংয়েও অনুজ্জ্বল।

তানজিম হাসান ৭.৫/১০
ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের চোখে চোখ রেখে বোলিং করেছে। অল্প ব্যবধানে বিরাট কোহলি ও সূর্যকুমার যাদবের উইকেট নিয়ে দলকে কিছুটা হলেও ম্যাচে ফিরিয়ে এনেছিল।

মোস্তাফিজুর রহমান ৪/১০
বর্তমান ফর্ম বিবেচনায় বেশ খরুচে। ভালো ব্যাটিং উইকেটে বোলিং কৌশলে ভিন্নতা আনা প্রয়োজন।

রিশাদ হোসেন ৫.৫/১০
২ উইকেট পেলেও ওভারপ্রতি ১৪ রানের বেশি, অত্যন্ত খরুচে বোলিং। বলের লাইন বজায় রাখতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছিল। সেটি বাতাসের কারণেও হতে পারে। তবে ১০ বলে ২৪ রানের ইনিংসটি দারুণ উপভোগ্য ছিল।

তানজিম হাসানের চোখে চোখ রেখে খেলার যে মানসিকতা, সেটি যত দ্রুত দলের অন্যদের মধ্যে সংক্রমিত হয় ততই মঙ্গল

মাহমুদউল্লাহ ৬/১০
দিনের সেরা বোলার। কেন আরও বল করানো হলো না, তা বোঝা গেল না। ব্যাটিংয়ে যখন এল, তখন আর কিছুই করার ছিল না।

তানজিদ হাসান ৫.৫/১০
শুরুটা ভালো করলেও টেনে নিতে পারল না। স্পিনের বিরুদ্ধে স্বাচ্ছন্দ্যে খেলতে পারেনি।

লিটন দাস ৪/১০
পুল শটে ছয়ের মারটা দেখে মনে হচ্ছিল ভেতরকার জড়তা হয়তো কেটে গেছে। কিন্তু তার পরপরই আবার সেই হাফ হার্টেড শট। কিপিংটা সন্তোষজনক।

নাজমুল হোসেন ৬.৫/১০

ব্যাটিংয়ে ছন্দ ফিরে পাওয়ার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। এটি দলের জন্য সুখবর। মাহমুদউল্লাহকে অন্তত আরও একটা ওভার করাতে পারত।

তাওহিদ হৃদয় ২/১০
এভাবে দুই ম্যাচ আগেও আউট হয়েছে। এটি ওর শক্তির জায়গা। প্রতিপক্ষ দল নিশ্চয়ই ভবিষ্যতেও এই শক্তির ভেতর নিহিত দুর্বলতার সুযোগ নেবে।

জাকের আলী ২/১০
এই সুযোগগুলোকে কাজে লাগানো জরুরি। এ জায়গায় নিজের যোগ্যতা প্রমাণের এখনো বাকি আছে।