অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক অ্যালান বোর্ডার
অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক অ্যালান বোর্ডার

পারকিনসনস রোগে আক্রান্ত বোর্ডার

অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট কিংবদন্তি অ্যালান বোর্ডার জানিয়েছেন, তিনি পারকিনসনস রোগে আক্রান্ত। এ কারণে তাঁর ৮০ বছর বেঁচে থাকাটা হবে ‘মিরাকল’।

৬৮ বছর বয়সী বোর্ডার শরীরে পারকিনসনসের উপস্থিতি জেনেছেন ২০১৬ সালে। সাত বছর খবরটি নিজের মধ্যে রেখে জনসমক্ষে প্রকাশ করেছেন আজ। অস্ট্রেলিয়ার নিউজকর্পকে বোর্ডার বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগত পরিসরে থাকা মানুষ। আমার এমন একটি খবর শুনে মানুষ দুঃখবোধ করুক, সেটা চাইনি। জানি না ব্যাপারটা মানুষ খেয়াল করেছে কি না। কিন্তু একদিন তো তাদের চোখে ধরা পড়তই।’

টেস্ট ক্রিকেটে ১১ হাজার রানের মাইলফক স্পর্শ করা প্রথম ব্যাটসম্যান ছিলেন বোর্ডার। ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা অধিনায়কদের একজন। তাঁর নেতৃত্বে ১৯৮৭ সালে প্রথমবার বিশ্বকাপ জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া, সবচেয়ে বেশি টানা ৯৩ টেস্টে অধিনায়কত্ব করার রেকর্ডটি এখনো তাঁর দখলে।

১৯৯৬ সালে মাঠের ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়া বোর্ডার জনসাধারণের সামনে কম আসেন। পারকিনসনস রোগে আক্রান্তের খবর সাত বছর পর সামনে আনার পর তিনি বলেন, এই মুহূর্তে তিনি ভালো আছেন, ‘আমার মনে হচ্ছে বেশির ভাগ মানুষের চেয়ে আমি ভালো আছি। এই মুহূর্তে আমি ভয় পাচ্ছি না। অদূর ভবিষ্যতের জন্যও নয়।’

শেন ওয়ার্নের শ্রদ্ধাঞ্জলিতে অ্যালান বোর্ডার

তবে চিকিৎসক তাঁকে দীর্ঘ আয়ু না পাওয়ার বিষয়টি জানিয়ে দিয়েছেন বলে উল্লেখ করেন বোর্ডার, ‘আমার বয়স এখন ৬৮। যদি ৮০ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারি, সেটা মিরাকল হবে। আমার এক ডাক্তার বন্ধু বলেছে ৮০-তে যাওয়া মিরাকল হবে।’

ক্রিকেটে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০০৯ সালে আইসিসি হল অব ফেমে যে ৫৫ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তাঁদের মধ্যে বোর্ডার অন্যতম। ১৫৬ টেস্টের ক্যারিয়ারে ২৭ সেঞ্চুরি করা এই কিংবদন্তি পারকিনসনস ও সম্ভাব্য আয়ু সম্পর্কে বলেন, ‘আমার আর একটি সেঞ্চুরিতে পৌঁছানোর কোনো সুযোগই নেই। এটা নিশ্চিত। আমি ধীরে ধীরে পশ্চিমে ঢলে পড়ছি।’

পারকিনসনস এমন এক রোগ, যা মস্তিষ্কে নির্দিষ্ট ধরনের রাসায়নিক পদার্থের ঘাটতির কারণে হয়ে থাকে। এ রোগে আক্রান্ত হলে হাঁটতে অসুবিধা, শরীর অবশ হয়ে যাওয়া, শরীর কেঁপে ওঠা, হাতের রেখা ছোট হয়ে যাওয়া, শরীরের ভারসাম্য রাখতে না পারার মতো সমস্যাগুলো হয়ে থাকে।