মাঠ ছোট। উইকেটও ভালো। চেমসফোর্ডের মাঠে যে কোনো অধিনায়কই দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে চাইবেন। তার ওপর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে ম্যাচে ৩১৯ রান তাড়া করে জিতেছে বাংলাদেশ। স্বাভাবিকভাবে আজও বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক তামিম ইকবাল পরে ব্যাটিং করতে চেয়েছিলেন। কারণটা তিনি টসের সময়ই বলেছিলেন, ‘এই মাঠটা রান তাড়ার জন্য ভালো।’
কিন্তু আজ টসে হেরে আগে ব্যাট করে বাংলাদেশ দল ৪৮.৫ ওভারে ২৭৪ রান করে অলআউট হয়েছে। আর এ রানটা যে যথেষ্ট ছিল না, সেটি তামিম নিজেও জানতেন। রান তাড়ায় আয়ারল্যান্ডের ব্যাটিং দেখার পর তামিমের শঙ্কাই সত্যি মনে হচ্ছিল। কিন্তু ম্যাচের ছবিটা পাল্টে যায় মোস্তাফিজুর রহমানের এক স্পেলে। মোস্তাফিজ শেষ পর্যন্ত ১০ ওভারে ৪৪ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন।
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণের মঞ্চে তামিমের মুখে মোস্তাফিজের প্রশংসা শোনা গেল, ‘আমি যদি বলি আমরা ম্যাচটা জেতার আশা করেছি, সেটা মিথ্যা বলা হবে। একপর্যায়ে মনে হচ্ছিল ম্যাচটা শেষ। কিন্তু ক্রিকেট অদ্ভুত এক খেলা। দুই-একটা উইকেটেই ম্যাচের ম্যাচের চেহারা পাল্টে যেতে পারে। স্কোরবোর্ডেরও একটা চাপ আছে। আর যেভাবে ফিজ বোলিং করেছে, বিশেষ করে যখন সে ক্যাম্ফার ও টাকারকে আউট করেছে, তখন আমরা বিশ্বাস করা শুরু করি।’
মোস্তাফিজ জয়ের মঞ্চ গড়ে দিয়েছেন। বাকি কাজটা করেছেন আরেক পেসার হাসান মাহমুদ। শেষ ওভারে আয়ারল্যান্ডের জয়ের জন্য দরকার ছিল ১০ রান, হাতে ছিল ৩ উইকেট। চাপের মুখে হাসান ৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন। তামিম অবশ্য পুরো পেস বোলিং বিভাগকেই প্রশংসা ভাসিয়েছেন, ‘যদি আপনার হাতে ভালো বোলিং আক্রমণ থাকে, তাহলে অধিনায়কত্ব করা খুবই সহজ। এখন দলে যারা আছেন তাদের নিয়ে আমি খুবই রোমাঞ্চিত। ফাস্ট বোলাররা যারা তারা খুবই ভালো করছে। এখানে কয়েকজন নেই। যেমন তাসকিন চোটে আছে। সে অনেক উন্নতি করেছে। আমাদের বোলিং আক্রমণ এখন খুবই ভালো।’
আজ অনিয়মিত বোলার হিসেবে নাজমুল হোসেনকেও ব্যবহার করেছেন তামিম। যদিও নাজমুলের বোলিংয়ে খুব একটা আস্থা নেই অধিনায়কের। মজা করে তিনি বলছিলেন, ‘৪০ ওভার পর্যন্ত কোনো তাকে বোলিং দেওয়ার কোনো পরিকল্পনা ছিল না। মিরাজ যেভাবে বল করেছে, সেটা শান্তকে বোলিং দিতে বাধ্য হয়েছি। সে বলছিল সে পারবে। কিন্তু আমি তাকে বিশ্বাস করি না (হাসি)। কিন্তু আমার অধিনায়কত্বেই সে তার প্রথম ওয়ানডে উইকেট পেয়েছে। অফ স্পিনারকে মারা সহজ মনে হচ্ছিল না। সে জন্যই তাকে বল দিয়েছি।’