বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং বিভাগের নতুন সংযোজন মুশফিক হাসান। আফগানিস্তানের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টের দলে নতুন মুখ রংপুরের এই পেস বোলার। ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক পারফরম্যান্সের পুরস্কার হিসেবে টেস্ট দলে ডাক পেয়েছেন ২০ বছর বয়সী এই তরুণ।
আজ তিনি প্রথমবারের মতো জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন। অনুশীলন শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে কথা বলেন তাঁর অনুপ্রেরণা, জাতীয় দলে ডাক পাওয়া ও স্বপ্ন নিয়ে।
মুশফিক যুক্ত হয়েছেন বাংলাদেশ দলের এমন বোলিং আক্রমণে, যেখানে তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, ইবাদত হোসেন, হাসান মাহমুদদের নিয়ে ভালো একটি পেস বিভাগ আছে। তরুণ এই পেসার বললেন, বাংলাদেশ দলের পেস বোলিং বিভাগই তাঁর সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা, ‘এখন আমি অনুপ্রেরণা পাই বাংলাদেশের পেস বোলারদের দেখে।’ মুশফিকের প্রিয় বোলার অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকার কাগিসো রাবাদা, ‘আমি অনুসরণ করি (কাগিসো) রাবাদাকে।’
জাতীয় দলে জায়গা করে নেওয়ার পেছনে নিজের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের পারফরম্যান্সকে কৃতিত্ব দিয়েছেন মুশফিক, ‘সর্বপ্রথম শুকরিয়া যে আমি জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ। আমি মনে করি, প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে আমি ভালো খেলেছি এ জন্য হয়তো আমাকে নেওয়া হয়েছে।’
জাতীয় দলেও সেটি ধরে রাখতে চান তিনি, ‘আমি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এনসিএল ও বিসিএল যেভাবে খেলেছি ঠিক ওভাবেই ‘এ’ দলে খেলেছি। যদি আমি জাতীয় দলে সুযোগ পাই, তাহলে ওভাবেই খেলব।’
গত বছরের যুব বিশ্বকাপে বাংলাদেশ অষ্টম হলেও মুশফিকের আক্রমণাত্মক বোলিং ছিল চোখে পড়ার মতো। লাল বলের ক্রিকেটে ২০ বছর বয়সী এই পেসারের ভয়ংকর রূপটা দেখা যায় গত বছরের জাতীয় লিগে।
ডিউক বলে তিনি ছিলেন ব্যাটসম্যানদের আতঙ্ক। নিজের প্রথম মৌসুমেই ৬ ম্যাচে ১০ ইনিংসে বোলিং করে নেন ২৫ উইকেট। রংপুরের শিরোপা জয়ে বড় অবদান ছিল এই ডানহাতি পেসারের। বিসিএলেও ৪ ম্যাচে ৭ ইনিংসে বোলিং করে নেন ১৭ উইকেট।