পুনের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। এ ম্যাচে সাকিব আল হাসানদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে উঠতে পারেন বিরাট কোহলি।
সেটি বিশ্বকাপে ভারতের সর্বশেষ তিন ম্যাচে দুটি ফিফটি মেরে কোহলির আরও বড় কিছু করার ইঙ্গিত দেওয়ার জন্য নয়। মহারাষ্ট্র ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কোহলির অতীত রেকর্ডও ঈর্ষণীয়। আর এই রেকর্ডই বলছে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার ম্যাচে পার্থক্য হয়ে দাঁড়াতে পারেন ওয়ানডেতে ৪৭টি সেঞ্চুরির এই মালিক।
ক্রিকেটের তিন সংস্করণ মিলিয়ে এই মাঠে কোহলির রানসংখ্যাই সর্বোচ্চ। ১১ ম্যাচে ১২ ইনিংসে ৬৯.২৭ গড়ে ৭৬২ রান করেছেন। ৩টি সেঞ্চুরির দুটিই ওয়ানডেতে আর এই সংস্করণেও মহারাষ্ট্র ক্রিকেট স্টেডিয়ামে কোহলির রানসংখ্যা সর্বোচ্চ—৭ ম্যাচে ৪৪৮ রান। ৬৪ গড় ও ৯১.৯৯ স্ট্রাইক রেটে ৪৮৭ বল খেলেছেন কোহলি।
এই মাঠে ওয়ানডেতে তাঁর চেয়ে বেশি বল আর কেউ খেলতে পারেননি। যেহেতু ম্যাচ বাংলাদেশের বিপক্ষে তাই জানিয়ে রাখা ভালো, ২০১২ স্থাপিত হওয়া এই স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেনি। বৃহস্পতিবারই প্রথমবারের মতো এ মাঠে খেলবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশের বিপক্ষেই বিশ্বকাপ অভিষেক কোহলি। ২০১১ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৮৩ বলে ১০০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন। বাংলাদেশের খেলোয়াড়েরা নিশ্চয়ই এ তথ্য জানেন এবং কোহলিকে থামানোর সব রকম ‘হোমওয়ার্ক’ই নিশ্চয়ই করা হচ্ছে! এমনিতে মহারাষ্ট্র স্টেডিয়ামের উইকেট ব্যাটিং–বান্ধব। তবে পেসাররাও সুবিধা পেয়ে থাকেন এ মাঠে।
ওয়ানডেতে এই মাঠে ৭ ইনিংস ব্যাট করে ৪ বার পেসার এবং ৩ বার স্পিনারদের উইকেট দিয়েছেন কোহলি। আর সব সংস্করণ মিলিয়ে ১০ ইনিংসে পেসারদের মুখোমুখি হয়ে ৩৮৯ রান তোলার পাশাপাশি ৬ বার আউট হয়েছেন। ব্যাটিং গড় ৫৫.৫৭। আর স্পিনারদের বিপক্ষে ১১ ইনিংসে ব্যাট করে ৪ বার আউট হওয়ার পাশাপাশি ৩৭৩ রান তুলেছেন কোহলি।
তবে আইপিএলে তাকালে একটি ব্যাপার ভেবে স্বস্তি পেতেই পারে বাংলাদেশ। আইপিএলে এক ভেন্যুতে কমপক্ষে ৫ ইনিংস খেলেছেন, এমন ভেন্যুগুলোর মধ্যে পুনেতে কোহলির স্ট্রাইক রেট সবচেয়ে কম (১১০.৮০)। গড়াটাও ঠিক কোহলিসুলভ নয়—৩০.৬৭।