বিশ্বকাপ ট্রফির ওপরে পা রেখে বসে আছেন মিচেল মার্শ
বিশ্বকাপ ট্রফির ওপরে পা রেখে বসে আছেন মিচেল মার্শ

বিশ্বকাপ ট্রফি নিয়ে মিচেল মার্শের কাণ্ডে কষ্ট পেয়েছেন শামি

বিশ্বকাপ ফাইনালের চার দিন পরই আবার মাঠে নেমে যেতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। ফাইনালের প্রতিপক্ষ ভারতের বিপক্ষেই গতকাল টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ খেলেছে তারা। প্যাট কামিন্স-ট্রাভিস হেডরা তাই আর বিশ্বকাপের শিরোপা জয় সেভাবে উদ্‌যাপন করতে পারলেন কই!

বিশ্বকাপ দলের কেউ কেউ টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে থেকে গেছেন ভারতে। অনেকে আবার এই সিরিজ থেকে বিশ্রাম নিয়ে চলে গেছেন অস্ট্রেলিয়ায়। এর মধ্যেই যতটুকু সম্ভব শিরোপা জয় উদ্‌যাপন করেছে অস্ট্রেলিয়া দল। অস্ট্রেলিয়া দলের সেই উদ্‌যাপনের একটি ছবি দেখে খুব কষ্ট পেয়েছেন ভারতের পেসার মোহাম্মদ শামি।

বিশ্বকাপের ট্রফির ওপরে পা দিয়ে বসে আছেন—এই ছবি নিজের এক্স অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অলরাউন্ডার মিচেল মার্শ। ছবিটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘ভাইরাল’ হয়ে গেছে। অনেকেরই মন্তব্য এ রকম, এভাবে ছবি তুলে মার্শ বিশ্বকাপের ট্রফি আর খেলাটিকে অসম্মান করেছেন!

বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন এবারের বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি শামিও। পিউমার এক অনুষ্ঠানে গিয়ে গতকাল সাংবাদিকদের শামি বলেছেন, ‘আমি কষ্ট পেয়েছি। যে শিরোপার জন্য বিশ্বের সব দল লড়াই করে, যে ট্রফি আপনি মাথার ওপর তুলে ধরেন, সেই ট্রফির ওপর পা রাখা আপনাকে আনন্দ দিতে পারে না।’

বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি হয়েও ফাইনালে পরাজিত দলে শামি

বিশ্বকাপে যে এত ভালো বোলিং করেছেন, ২৪টি উইকেট পেয়েছেন—এর রহস্য কী! তিনি কি ম্যাচের আগে উইকেট ভালো করে পড়তে পেরেছেন বলেই এমন সাফল্য? শামি বললেন অন্য কথা, ‘সাধারণত বোলাররা মাঠে পৌঁছানোর পর উইকেট দেখে। আমি কখনো উইকেটের কাছেও যাই না। কারণ, আপনি যখন বোলিং করবেন, তখন জানতে পারবেন পিচ কেমন আচরণ করছে।’ শামি এরপর যোগ করেন, ‘তাহলে শুধু শুধু চাপ নেওয়া কেন? সবকিছু সহজ-সরল রাখতে হবে, ফুরফুরে থাকতে হবে, তাহলে আপনি ভালো খেলতে পারবেন।’

শামি অবশ্য বিশ্বকাপের শুরু থেকে ভারতের একাদশে জায়গা পাননি। দলের প্রথম চার ম্যাচে তিনি ছিলেন দর্শক। বাংলাদেশের বিপক্ষে অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া চোট পাওয়ার পর একাদশে সুযোগ পান শামি। এরপর যা করেছেন, সেটা দুর্দান্ত। মাত্র ৭ ম্যাচ খেলে ১০.৭০ গড়ে নিয়েছেন ২৪ উইকেট। বিষয়টি নিয়ে শামি বলেছেন, ‘আপনি যখন চার ম্যাচ বসে থাকবেন, মানসিক দিক থেকে শক্ত থাকতে হবে। কখনো কখনো আপনি চাপে পড়ে যাবেন।’