সেপ্টেম্বরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের চতুর্থ ওয়ানডেতে ব্যাটিংয়ের সময় হাতে আঘাত পান ট্রাভিস হেড। স্ক্যান রিপোর্ট হাতে আসার পর জানা যায়, বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যানের হাতে চিড় ধরেছে। তখনই জানানো হয়, বিশ্বকাপে হেড কমপক্ষে পাঁচটি ম্যাচ মিস করতে পারেন।
তবে প্রথম দুই ম্যাচ পরই অস্ট্রেলিয়াকে সুখবর দিয়েছেন হেড। প্রত্যাশার চেয়ে দ্রুত সেরে উঠেছেন ২৯ বছর বয়সী ওপেনার। নিজ শহর অ্যাডিলেডে এরই মধ্যে অনুশীলন শুরু করে দিয়েছেন তিনি। সব ঠিক থাকলে আগামী বৃহস্পতিবার ভারতের উদ্দেশে রওনা হবেন।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) ওয়েবসাইটে সেরে ওঠার তথ্য নিজেই জানিয়েছেন হেড, ‘সবকিছু ঠিকঠাক চলছে, সম্ভবত প্রত্যাশার চেয়েও ভালো। অস্ত্রোপচার করালে সেরে উঠতে ১০ সপ্তাহ লেগে যেত। যখন অস্ত্রোপচার না করানোর সিদ্ধান্ত নিই, তখনই বলা হয়েছিল অন্তত ছয় সপ্তাহ ব্যান্ডেজ লাগিয়ে রাখতে হবে।’
অস্ট্রেলিয়ার এবারের বিশ্বকাপের শুরুটা ভালো হয়নি। প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে ৬ উইকেটে, দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ১৩৪ রানে হারে প্যাট কামিন্সের দল। আগামীকাল নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা। পরের ম্যাচ শুক্রবার পাকিস্তানের বিপক্ষে। সেদিনই ভারতে পৌঁছাবেন হেড।
তবে দীর্ঘ ভ্রমণের পরই মাঠে নামার ইচ্ছা নেই। আরও কিছুদিন বিশ্রাম নিয়ে নেদারল্যান্ডস ম্যাচ দিয়ে ফিরতে চান তিনি, ‘পরিকল্পনা অনুযায়ী, নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ম্যাচটি ছয় সপ্তাহের কিছু কম সময়ের মধ্যে হবে, যা কিছুটা তাড়াহুড়া হয়ে যাবে। তবে ওই ম্যাচ ধরার জন্য এখন থেকে সবকিছু সুন্দরভাবে করে যেতে হবে।’
প্রায় চার বছরের বিরতি দিয়ে গত বছর পাকিস্তান সফরে হেডের ওয়ানডে ক্যারিয়ারে নতুন সূচনা হয়েছে। মিডল অর্ডার থেকে ওপেনিংয়ে উঠে আসার পর থেকে দারুণ খেলছেন। চোটে ছিটকে পড়ার আগেও ছন্দটা ধরে রেখেছিলেন। এ বছর খেলা ৭ ওয়ানডেতে ৪৮.২০ গড়ে করেছেন ২৪১ রান; স্ট্রাইক রেট টি-টোয়েন্টিতুল্য ১৪১.৭৬! পার্ট টাইমার হিসেবে অফ স্পিনটাও খুব একটা খারাপ করেন না।
হেড না থাকায় বিশ্বকাপে ডেভিড ওয়ার্নারের উদ্বোধনী সঙ্গী হিসেবে খেলছেন মিচেল মার্শ। তবে দুই ম্যাচেই ব্যর্থ হয়েছেন। ভারতের বিপক্ষে মেরেছেন ‘ডাক’ আর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে করেছেন ৭।