শুক্রবার শুরু হচ্ছে আইপিএলের ২০২৩ আসর। প্রথম দিনে আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটানসের মুখোমুখি হবে চেন্নাই সুপার কিংস। প্রায় দুই মাস লম্বা এ টুর্নামেন্টে ১০টি দল ভারতের ১২টি ভেন্যুতে মোট ৭৪টি ম্যাচ খেলবে।
কততম আসর?
আইপিএলের এবারের আসরটি ১৬তম। ২০০৮ সালে শুরু হয়ে প্রতিবছরই মাঠে গড়িয়েছে আইপিএল।
শুরু এবং শেষ কবে?
৩১ মার্চ গুজরাট লায়নস–চেন্নাই সুপার কিংস ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে ২০২৩ আইপিএল। ফাইনাল ২৮ মে, আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে।
ম্যাচ শুরু হবে কখন?
দিনের ম্যাচ শুরু হবে বাংলাদেশ সময় ৪টায়, রাতের ম্যাচ ৮টায়। বেশির ভাগ দিন ম্যাচ হবে ১টি করে। দুটি করে ম্যাচ আছে ১৮ দিন।
কোন ভেন্যুতে খেলা হবে?
কোভিড বিধিনিষেধের কারণে গত বছরের ম্যাচ হয়েছিল মাত্র তিনটি ভেন্যুতে। এবার কোভিড–পূর্ব সময়ের মতো হোম–অ্যাওয়েতে ফিরছে আইপিএল। প্রতিটি দল লিগ পর্বের ৭ ম্যাচ নিজেদের মাঠে, ৭ ম্যাচ প্রতিপক্ষের মাঠে খেলবে। মোট ভেন্যু এবার ১২টি।
কোন ফরম্যাটে খেলা হবে?
অংশগ্রহণকারী ১০ দলকে দুটি গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে, প্রতি গ্রুপে ৫টি করে দল। প্রতিটি দল লিগ পর্বে ১৪টি করে ম্যাচ খেলবে। এর মধ্যে নিজ গ্রুপের ৪ দলের বিপক্ষে একটি করে মোট ৪টি ম্যাচ। আর অন্য গ্রুপের ৫ দলের বিপক্ষে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিতে দুটি করে মোট ১০টি ম্যাচ। প্রতিটি জয়ের জন্য ২ পয়েন্ট আর ড্র বা ফলহীন ম্যাচের জন্য ১ পয়েন্ট।
লিগ পর্বে পয়েন্ট তালিকায় সেরা চারে থাকা দলগুলো প্লে–অফে খেলবে। এর মধ্যে শীর্ষ দুটি খেলবে কোয়ালিফায়ার–ওয়ানে, জয়ী দল উঠে যাবে ফাইনালে। হেরে যাওয়া দল খেলবে কোয়ালিফায়ার টু–তে। লিগ পয়েন্ট তালিকার তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানে থাকা দুই দল প্লে–অফে এলিমিনেটরে খেলবে। হেরে যাওয়া দল বাদ পড়বে, জিতে যাওয়া দল কোয়ালিফায়ার–টুতে উঠে যাবে।
কোয়ালিফায়ার–ওয়ান ও কোয়ালিফায়ার–টু জয়ী দল মুখোমুখি হবে ফাইনালে।
কোন গ্রুপে কে আছে?
গ্রুপ–এ–তে আছে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস, কলকাতা নাইট রাইডার্স, রাজস্থান রয়্যালস, দিল্লি ক্যাপিটালস ও লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস। গ্রুপ–বি–তে আছে চেন্নাই সুপার কিংস, সানরাইজার্স হায়দরাবাদ, গুজরাট টাইটানস, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও পাঞ্জাব কিংস।
কোন দলের অধিনায়ক কে?
১০ দলের অধিনায়ক হচ্ছেন হার্দিক পান্ডিয়া (গুজরাট লায়নস), সঞ্জু স্যামসন (রাজস্থান রয়্যালস), লোকেশ রাহুল (লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টস), রোহিত শর্মা (মুম্বাই ইন্ডিয়ানস), মহেন্দ্র সিং ধোনি (চেন্নাই সুপার কিংস), ফাফ ডু প্লেসি (রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু), ডেভিড ওয়ার্নার (দিল্লি ক্যাপিটালস), শিখর ধাওয়ান (পাঞ্জাব কিংস), এইডেন মার্করাম (সানরাইজার্স হায়দরাবাদ), নীতিশ রানা (কলকাতা নাইট রাইডার্স)।
কোন দলের কোচ কে?
আইপিএল ডাগআউটে কোচ হিসেবে যাঁরা থাকবেন, তাঁরা হচ্ছেন স্টিভেন ফ্লেমিং (চেন্নাই), ব্রায়ান লারা (হায়দরাবাদ), মার্ক বাউচার (মুম্বাই), রিকি পন্টিং (দিল্লি), আশিষ নেহরা (গুজরাট), অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার (লক্ষ্ণৌ), কুমার সাঙ্গাকারা (রাজস্থান), চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত (কলকাতা), সঞ্জয় বাঙ্গার (বেঙ্গালুরু), ট্রেভর বেলিস (পাঞ্জাব)।
নতুন কী কী নিয়ম আছে?
ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার: দলগুলো চাইলে ইনিংসের যে কোনো সময়ে এক খেলোয়াড়ের জায়গায় আরেকজনকে বদলি করতে পারবে। এটিকে বলা হচ্ছে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার। বদলি হিসেবে নেমে ব্যাটিং–বোলিং দুটিই করতে পারবেন ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার। অর্থাৎ আউট হয়ে যাওয়া ব্যাটসম্যান বা ৪ ওভার বল করে ফেলা বোলারের জায়গায় যিনি নামবেন। তিনি ব্যটিং, বোলিং দুটিই করতে পারবেন। ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার মূলত ভারতীয়দের মধ্য থেকে হবেন। বিদেশি খেলোয়াড় নামানো যাবে, যদি শুরুর একাদশে চার বিদেশির জায়গায় তিনজনকে রাখা হয়ে থাকে। এর মাধ্যমে আইপিএল কার্যত ১১ জনের জায়গায় ১২ জনের খেলায় পরিণত হতে যাচ্ছে।
টসের পর একাদশ: টসের সময় অধিনায়কেরা দুটি একাদশ সঙ্গে নিয়ে নামবেন। টসের পর সিদ্ধান্ত জানাবেন, কোন একাদশটি খেলানো হবে। একাদশের সঙ্গে ৪ জন খেলোয়াড়ের নাম থাকবে বদলি হিসেবে। এঁদের মধ্য থেকে যেকোনো একজনকে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে নামানো যাবে।
ওয়াইড, নো–বলে রিভিউ: বোলার–অধিনায়ক বা ব্যাটসম্যানরা ওয়াইড, নো–বলে রিভিউ চাইতে পারবেন। এর জন্য অবশ্য বাড়তি রিভিউ বরাদ্দ থাকবে না। ইনিংসপ্রতি বরাদ্দ ২ রিভিউর অন্তর্ভুক্ত থাকবে এটি।
সাকিব–লিটন ও মোস্তাফিজের দলের প্রথম ম্যাচ কবে?
বাংলাদেশের সাকিব আল হাসান ও লিটন দাস আছেন কলকাতা নাইট রাইডার্সে। কলকাতার প্রথম ম্যাচ ১ এপ্রিল, পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে। একই দিন রাতে লক্ষ্ণৌ সুপার জায়ান্টসের বিপক্ষে খেলবে মোস্তাফিজুর রহমানের দিল্লি ক্যাপিটালস।
বাংলাদেশ থেকে কীভাবে দেখা যাবে?
সরাসরি সম্প্রচার করা হবে টি–স্পোর্টস চ্যানেলে। এ ছাড়া টি–স্পোর্টস অ্যাপেও খেলা দেখা যাবে।