কত কী বিশেষণ তাঁর নামের আগে। এর মধ্যে সবচেয়ে সুন্দর বিশেষণটা মনে হয় ‘প্রজন্মসেরা ব্যাটসম্যান’। হ্যাঁ, স্টিভ স্মিথকে বলা হয় অস্ট্রেলিয়ার প্রজন্মসেরা ব্যাটসম্যান। অথচ এই প্রজন্মসেরা ব্যাটসম্যানকে বাদ দিয়েই টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে অস্ট্রেলিয়া। সেই দলে পরে ট্রাভেলিং রিজার্ভ হিসেবে আরও দুজনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সেখানেও নেই স্টিভ স্মিথ, ট্রাভেলিং রিজার্ভ হিসেবে দলে নেওয়া হয়েছে জেইক ফ্রেজার–ম্যাগার্ক ও ম্যাথু শর্টকে।
স্টিভ স্মিথ অবশ্য বিশ্বকাপে যাচ্ছেন। তবে অস্ট্রে্লিয়া দলের সদস্য হয়ে নয়, আইসিসির ধারাভাষ্যকার দলের সদস্য হিসেবে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্রে হতে যাওয়া বিশ্বকাপে তিনি থাকছেন আইসিসির তারকাসমৃদ্ধ ধারাভাষ্যকার দলে।
একটি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ, দুটি ওয়ানডে বিশ্বকাপের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে একটি টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপও জিতেছেন স্মিথ। আইসিসির ধারাভাষ্যকার দলে স্মিথের সঙ্গে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতা খেলোয়াড় হিসেবে আছেন অ্যারন ফিঞ্চ, দিনেশ কার্তিক, কার্লোস ব্রাফেট, স্যামুয়েল বদ্রি। এঁদের সঙ্গে মেয়েদের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী এবোনি রেইনফোর্ড–ব্রেন্ট ও লিসা স্টালেকাররাও।
সাম্প্রতিক সময়ের এই তারকাদের সঙ্গে বিশ্বকাপের জন্য আইসিসির ধারাভাষ্য প্যানেলে আছেন রবি শাস্ত্রী, নাসের হুসেইন, ইয়ান স্মিথ, মেল জোন্স, হার্শা ভোগলে ও ইয়ান বিশপের মতো অভিজ্ঞ ধারাভাষ্যকার। এ ছাড়া ওয়ানডে বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটারদের মধ্যে এবারের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বিশ্লেষক হিসেবে কাজ করবেন সুনীল গাভাস্কার, রিকি পন্টিং, ম্যাথু হেইডেন, রমিজ রাজা, এউইন মরগান, টম মুডি ও ওয়াসিম আকরামরা।
এবারের বিশ্বকাপে ধারাভাষ্যে এ ছাড়াও বড় নাম হিসেবে থাকছেন ডেল স্টেইন, গ্রায়েম স্মিথ, মাইক আথারটন, ওয়াকার ইউনিস, সাইমন ডুল, শন পোলক, কেটি মার্টিন। অন্য আরও অনেকের সঙ্গে আইসিসির ধারাভাষ্য প্যানেলে আছেন বাংলাদেশের আতহার আলী খানও। বিশ্বকাপে ধারাভাষ্যকার হিসেবে অভিষেক হতে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ধারাভাষ্যকার জেমন ও’ব্রায়েনের, যিনি জমবয় নামেই বেশি পরিচিত। জমবয় মূলত যুক্তরাষ্ট্রের ক্রিকেট অনুসারীদের জন্য কনটেক্সট যোগ করবেন।
বিশ্বকাপে ধারাভাষ্য দেওয়ার বিষয় নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক ফিঞ্চ বলেছেন, ‘এটা বিশেষ একটা ইভেন্ট এবং ২০ দলের এই টুর্নামেন্টে অনেক উত্তেজনা আর রোমাঞ্চকর বিষয় থাকবে।’ ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্রাফেটের রোমাঞ্চ বিশ্বকাপটা নিজের দেশে বলে, ‘টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এমন একটা টুর্নামেন্ট, যেটা আমার হৃদয়ের কাছাকাছি। এবার এটা ওয়েস্ট ইন্ডিজে এবং প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্রে হচ্ছে। এই ইভেন্টে ধারাভাষ্যকার হিসেবে কাজ শুরু করতে আমার তর সইছে না। আশা করছি, স্মরণীয় একটা ব্যাপার হবে।’
ভারতের ক্রিকেটার দিনেশ কার্তিক বলেছেন, ‘এই টুর্নামেন্টা বিভিন্ন কারণে আলাদা হবে। এটা রোমাঞ্চকরও হবে। ২০টি দল, ৫৫টি ম্যাচ, কিছু নতুন ভেন্যু, রোমাঞ্চকর এক সমন্বয় এবং আমার ঝাঁপিয়ে পড়তে তর সইছে না।’ কার্তিকের সুরেই কথা বললেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক ফাস্ট বোলার স্টেইনও, ‘নতুন ফরম্যাট আর আরও বেশি দলের অংশগ্রহণে হতে যাওয়া ছেলেদের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলাটি ছড়িয়ে দেওয়ার দারুণ এক সুযোগ। আমি প্রতিটি দলকে খুব কাছ থেকে দেখব।’