বিশ্বকাপ প্রস্তুতিটা ভালোই হচ্ছে অস্ট্রেলিয়ার। ব্রিসবেনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে আজ ডেভিড ওয়ার্নার ও টিম ডেভিডের দারুণ ইনিংসের পর মিচেল স্টার্ক, অ্যাডাম জাম্পাদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ৩১ রানে জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। ২ ম্যাচের সিরিজে দুটি ম্যাচই জিতে সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছে অ্যারন ফিঞ্চের দল।
অন্যদিকে প্রথম ম্যাচে নিকোলাস পুরানের দল জয়ের সম্ভাবনা জাগালেও সিরিজের শেষ ম্যাচে লড়াই করতে পারেনি। অস্ট্রেলিয়ায় সামনের বিশ্বকাপটা যে মোটেই সহজ হবে না, যেন সেই বার্তাই পেলেন ক্যারিবিয়ানরা।
আইপিএল, পিএসএল, টি-টোয়েন্টি ব্লাস্ট, দ্য হানড্রেড, সিপিএল, বিগ ব্যাশ-ডেভিড খেলেছেন সব লিগেই। এসব লিগে পারফর্ম করেই সিঙ্গাপুরে জন্ম নেওয়া এই ক্রিকেটার অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ দলে ডাক পেয়েছেন। কিন্তু ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে দাপুটে পারফর্ম করার পরও একটা প্রশ্ন থেকেই গিয়েছিল। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ভালো খেলতে পারবেন তো ডেভিড! তবে দলে সুযোগ পেয়ে ডেভিড যা খেলছেন, তাতে বোধ হয় এই প্রশ্ন এখন তুলে রাখার সময় হয়েছে।
ভারত সফরে ২৭ বলে ৫৪ রানের ইনিংস খেলার পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ব্রিসবেনে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ২০ বলে ৪২ রান করেছেন এই মারকুটে ব্যাটসম্যান। তাঁর ইনিংসের কল্যাণেই মিডল অর্ডার ও লোয়ার অর্ডারের অন্য ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার পরও অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৭৮ রান।
যদিও অস্ট্রেলিয়ার ১৭৮ রানে সবচেয়ে বড় কৃতিত্বটা পাবেন ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার।
প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেও এদিন টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে ওয়ার্নার খেলেছেন ৪১ বলে ৭৫ রানের ইনিংস। শুরুতেই ফর্মের তুঙ্গে থাকা ক্যামেরন গ্রিনকে হারালেও অধিনায়ক ফিঞ্চকে সঙ্গে নিয়ে ৫২ বলে ৮৫ রানের জুটি গড়েন ওয়ার্নার।
ওয়ার্নারের ইনিংস কতটা দাপুটে ছিল, তা বোঝা যাবে একটি পরিসংখ্যানেই—জুটিতে মাত্র ১৫ রানই এসেছে ফিঞ্চের ব্যাট থেকে। দলীয় ৯৫ রানের সময়ে ফিঞ্চের বিদায়ের পর ৯৬ রানে ফেরেন ওয়ার্নারও। ছন্দে না থাকা গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও ১ রান করে ফিরেছেন রানআউটে কাটা পড়ে। ম্যাক্সওয়েলের বিদায়ে অস্ট্রেলিয়া কিছুটা চাপে পড়ে। তবে ডেভিডের ৪২ রানের ইনিংসে ঠিকই বড় সংগ্রহ পেয়ে যায় তারা। ২১ রানে ৩ উইকেট নেন আলজারি জোসেফ।
রান তাড়ায় ইনিংসের প্রথম ওভারেই কাইল মায়ার্সকে হারায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৬ রানে মায়ার্স ফেরেন নিজের বলে নিজেরই নেওয়া স্টার্কের দারুণ ক্যাচ। মায়ার্সকে হারানোর পর ব্রেন্ডন কিং ও জনসন চার্লস ৫০ রানের জুটি গড়েন। তবে অষ্টম ওভারে জাম্পা বল হাতে নিয়েই তুলে নেন ১৮ বলে ২৩ রান করা কিংকে। অধিনায়ক নিকোলাস পুরানও বেশিক্ষণ টিকে থাকতে পারেননি।
স্টার্কের বলে পুল করতে গিয়ে মিড উইকেটে ধরা পড়েন ফিঞ্চের হাতে। ব্যক্তিগত ১৬ রানে জেসন হোল্ডার ফেরেন স্টার্কের শিকার হয়ে। রোবমান পাওয়েল, আকিল হোসেনরাও চেষ্টার কম করেননি। কিন্তু যেটা দরকার ছিল...স্টার্ক, প্যাট কামিন্স, জস হ্যাজলউডের ডেথ বোলিংয়ের সামনে দলের প্রয়োজন অনুযায়ী ঝোড়ো ব্যাটিং করা, সেটা পারেননি। ২০ রানে ৪ উইকেট নেন স্টার্ক। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটাই তাঁর সেরা বোলিং।