তারকা খেলোয়াড়দের খেলার মাঠ থেকে রাজনীতির মাঠে যাওয়ার ঝোঁক দেখা গেছে সর্বশেষ দুই জাতীয় নির্বাচনে। এই আলোচনায় মাশরাফি বিন মুর্তজার নামটা আসবে সবার আগে। এবার যোগ দিয়েছেন সাকিব আল হাসানও। স্বাভাবিকভাবেই জনমনে কৌতূহল আছে, ক্রিকেট তারকাদের মধ্যে আর কে হতে পারেন ভবিষ্যতের রাজনীতিবিদ।
ক্যারিয়ারের সায়াহ্নে থাকা তামিম ইকবালকে আজ এ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়। ঢাকার পার্শ্ববর্তী পুবেরগাঁওয়ে আজ তামিমের বিপিএল দল ফরচুন বরিশাল অনুশীলন করেছে। অনুশীলন শেষে সাংবাদিকের এ প্রশ্ন শুনে যেন একটু ধাক্কাই খেলেন অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার।
পরে নিজেকে সামলে নিয়ে বলেছেন, ‘ভাই, এটা খুব রিস্কি একটা কথা। এখন আমি “না” বললাম। এরপর দেখা গেল ১০ বছর হলো, তখন আপনি এটা ধরে দেখিয়ে দেবেন যে আমি “না” বলেছিলাম।’
তবে রাজনীতি নিয়ে তামিমের আপাতত কোনো পরিকল্পনা নেই। কিন্তু সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেননি, ‘সুতরাং কখনোই কোনো কিছুকে “না” বলা ঠিক নয়। তবে এই মুহূর্তে (রাজনীতি নিয়ে) আমার কোনো পরিকল্পনা নেই।’
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য হওয়া মাশরাফি ও সাকিবের সঙ্গে তামিমের সম্পর্ক দুই রকমের। ব্যক্তিগতভাবে মাশরাফির সঙ্গে তামিমের সম্পর্ক খুবই ভালো। সাকিবের সঙ্গে তামিমের সম্পর্ক যে তেমন নয়, তা তো সবার জানা। রাজনীতির মাঠে মাশরাফি ও সাকিবের সাম্প্রতিক সাফল্যের পর তাঁদের সঙ্গে তামিমের কথা হয়েছে কি না, এমন প্রশ্নের উত্তরে তামিম বলেছেন, ‘দুজনের কারও সঙ্গেই দেখা হয়নি। দেখা হলে অবশ্যই কথা হবে। কথা তো হবেই। দেখা যাক।’
সাকিব এর মধ্যেই বিসিবির সভাপতি হওয়ার ইচ্ছা পোষণ করেছেন। তামিমের এমন কোনো ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা আছে কি? উত্তরটা তামিমের মুখেই শুনুন, ‘আমার এই সবে কোনো কিছু না। ইউ নেভার নো, ফিউচার আপনাকে কোন জায়গায় নিয়ে যায়। যদি আল্লাহ আমার কপালে ওই রকম কিছু লিখে রাখেন, সেটা অটোমেটিক্যালি হবে। ওইটা আমি জোর করে চেয়ে নিতে পারব না।’
এবারের বিপিএলে ফরচুন বরিশালকে নিয়ে নিজের লক্ষ্য জানাতে অবশ্য একদমই দ্বিধাহীন তামিম, ‘ব্যক্তিগত লক্ষ্য অবশ্যই আছে। আমার ব্যক্তিগত লক্ষ্য এবার দলকে জেতানো। দ্যাট ইজ দ্য অনলি গোল আই হ্যাভ। এই দলটাকে নিয়ে যদি আমরা ঠিকমতো এগোতে পারি, সেটাই সম্ভবত ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রতি আমার সেরা প্রতিদান হবে।’
এবারের বিপিএলে তামিমের ফরচুনের প্রথম ম্যাচ ২১ জানুয়ারি, প্রতিপক্ষ সাকিব আল হাসানের রংপুর রাইডার্স।