এক ম্যাচ বাকি রেখেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ
এক ম্যাচ বাকি রেখেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতেছে বাংলাদেশ

অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের চেয়ে যেখানে ইংল্যান্ড-জয়কে এগিয়ে রাখছেন হাবিবুল

টি–টোয়েন্টি সংস্করণে বাংলাদেশ দুর্বল—এমনটাই বলা হয়ে থাকে। বলার যথেষ্ট কারণও আছে। এ সংস্করণে যেসব ব্যাপার পার্থক্য গড়ে দেয়—বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে সেগুলোর অভাব যেন মাঝেমধ্যে প্রকট হয়ে দেখা দেয়। সে হিসেবে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি সিরিজ জয়টা দারুণ কিছুই। সীমিত ওভারের ক্রিকেটের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে এ জয় আলাদা করেই তৃপ্তি দিচ্ছে সবাইকে। তবে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও নির্বাচক হাবিবুল বাশারের তৃপ্তির জায়গাটা আলাদা। সিরিজটা যে কন্ডিশনের সুবিধা নিয়ে জেতেনি সাকিব আল হাসানের দল।

২০২১ সালের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপটা দুটি সিরিজ জয়ের ‘তৃপ্তি’ নিয়ে খেলতে গিয়েছিল বাংলাদেশ। বিশ্বকাপের আগে ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া আর নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টানা দুটি সিরিজ জয়ও বিরাট কিছুই ছিল। কিন্তু কন্ডিশনের সুবিধা নিয়ে জেতা ওই দুটি সিরিজ আসল জায়গায় গিয়ে খুব সামান্যই প্রভাব রেখেছিল।

এবার ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জয়টা হাবিবুলের জন্য বাড়তি তৃপ্তির, কারণ, তাঁর মতে, এই সিরিজ কন্ডিশনের সুবিধা নিয়ে জেতেনি বাংলাদেশ, ‘বিশ্বকাপের আগে আমরা অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যে রকম উইকেটে খেলেছিলাম, সেটা একটু ভিন্ন ছিল। কিন্তু এবার উইকেট কিন্তু অতটা খারাপ ছিল না। আমার মনে হয় না, বল অতটা স্পিন করছে। হয়তো কিছুটা মন্থর থাকতে পারে। মনে হয় না, খুব বেশি কন্ডিশনের সুবিধা নিয়ে ম্যাচ দুইটি জিতেছি। এ জন্য আরও বেশি তৃপ্তিদায়ক।’

কাল দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের শুরুটা মন্দ ছিল না। উইকেট হারালেও তারা যে অবস্থায় ছিল, সেখান থেকে খুব সহজেই ১৭০–১৮০ রান করে ফেলতে পারত ইংল্যান্ড। বাংলাদেশ সেখান থেকেই ঘুরে দাঁড়িয়ে ইংল্যান্ডকে গুটিয়ে দিয়েছে মাত্র ১১৭ রানে। প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ ইংল্যান্ডের ১৫৬ রানের সংগ্রহকে রীতিমতো উড়িয়ে দিয়ে জিতেছে।

আবদুর রাজ্জাক (বাঁয়ে) ও চন্ডিকা হাথুরুসিংহের (ডানে) সঙ্গে নির্বাচক হাবিবুল বাশার

এ দুটি ম্যাচেই দলের মনোভাবটাই দারুণ লেগেছে হাবিবুলের, ‘অনেক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছি, অনেক ম্যাচ জিতেছি। তবে এ দুইটা ম্যাচ একটু স্পেশাল আমার মনে হয়েছে। কারণ আমার মনে হয় না, খুব বেশি কন্ডিশনের সুবিধা নিয়ে ম্যাচ দুইটি জিতেছি। আর দলের যে চিন্তাভাবনা, আমি যেটুকু দেখেছি, দলের সঙ্গে কথা বলে, আমার মনে হয় দলও এখন প্রস্তুত, যেকোনো কন্ডিশনে আমরা জিততে চাই। কন্ডিশনের সুবিধা সব সময় নিতে চাই না। এই মনোভাবই আমাকে সবচেয়ে বেশি আনন্দ দিয়েছে।’

টি–টোয়েন্টির বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের এবার ধবলধোলাই করার সুযোগ বাংলাদেশের সামনে। আবার সুযোগ নিজেদের বেঞ্চটাকেও বাজিয়ে দেখার। আগামীকাল সিরিজের শেষ ম্যাচে কিছুটা পরীক্ষা–নিরীক্ষারও ইঙ্গিত দিয়ে রাখলেন হাবিবুল, ‘বেঞ্চ দেখাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ। যদি বেঞ্চের খেলোয়াড়দের সুযোগ দেওয়া না হয়, তাদের যদি প্রস্তুত হওয়ার সুযোগটা করে দেওয়া না হয়, তাহলে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের আগে যদি কোনো মূল খেলোয়াড় চোটে পড়ে, তাহলে তাদের প্রস্তুতি ছাড়াই খেলতে হয়। সেই সুযোগটা দল নেবে কি না, সেই আলোচনা এখনো হয়নি। সেটা করতে পারে। সেটা করলে কোনো সমস্যা নেই। তবে মনোযোগ থাকবে জেতার দিকে। অবশ্যই আমরা জিততে চাইব। সেটার মাধ্যমে আমরা যদি দুই-একটা বদল আনতে পারি, সেটা দল করতে পারে।’