মুশফিকুর রহিম আজ মিরপুর টেস্টে ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ আউট হওয়ার পর তাঁকে একটি ‘ক্লাব’-এ স্বাগত জানিয়েছেন ইংল্যান্ডের সাবেক ক্রিকেটার মাইকেল ভন। অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে তিনি ২০০১ সাল থেকে এই ক্লাবের সদস্য।
বেঙ্গালুরুতে ২০০১ সালে ভারতের বিপক্ষে ‘হ্যান্ডলড দ্য বল’ আউট হয়েছিলেন ভন। তবে মুশফিকের আউটকে ‘হ্যান্ডলড দ্য বল’ আউট বলা যাবে না। কারণ, ২০১৭ সালে ‘হ্যান্ডলড দ্য বল’ আউটকে ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ আউটের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) ভন লিখেছেন, ‘বিরল হ্যান্ডলড বল ক্লাবে তোমাকে স্বাগতম, মুশফিক। শুধু উপযুক্ত ক্রিকেটাররাই এই ক্লাবের সদস্য।’
মুশফিক কেন এই ক্লাবের সদস্য, সেটা এতক্ষণে সবাই জেনে গেছেন। আজ মিরপুর টেস্টে দ্বিতীয় দিনে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে ৪১তম ওভারে কাইল জেমিসনের চতুর্থ বলটি ব্যাকফুটে খেলেছিলেন ৩৫ রানে ব্যাট করা মুশফিক। বল ব্যাটে লেগে মাটিতে পড়ে বাউন্স খেয়েছিল। মুশফিক ইচ্ছাকৃতভাবে বলটি ডান হাত দিয়ে ধরেন।
নিউজিল্যান্ডের খেলোয়াড়েরা এতে আউটের আবেদন করেন। তৃতীয় আম্পায়ার ভিডিও রিপ্লে দেখে মুশফিককে আউট ঘোষণা করেন। বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটসম্যান হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ আউট হলেন মুশফিক।
ছেলেদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১২তম ব্যাটসম্যান হিসেবে ‘অবস্ট্রাকটিং দ্য ফিল্ড’ আউট হন মুশফিক। টেস্টে এই আউট হলেন দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে। ১৯৫১ সালে ওভাল টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে প্রথম এভাবে আউট হয়েছিলেন ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি ওপেনার লেন হাটন।
ক্রিকেটের আইনে ৩৭.১.২ ধারায় এই আউট সম্পর্কে বলা হয়েছে, বল খেলার মধ্যে থাকতে ব্যাটসম্যান যদি যে হাতে ব্যাট ধরা নেই, সেই হাত দিয়ে বল ধরেন, তবে এই আউট হবেন। কিন্তু যদি চোটের হাত থেকে বাঁচতে বল ধরেন, তবে তিনি আউট হবেন না।