৬৫টি ডট বলেই ডাচদের কাছে হার জিম্বাবুয়ের

নেদারল্যান্ডেসের শেষ চারের স্বপ্ন শেষ হয়েছে আগেই। কাগজে–কলমে জিম্বাবুয়ের সেমিফাইনালের স্বপ্ন টিকে ছিল। সে স্বপ্ন সত্যি করতে হলে সবার আগে হারাতে হতো নেদারল্যান্ডসকে।

ক্রেগ আরভিনের দল সেটা আর করতে পারেনি। হেরেছে ৫ উইকেটে। জিম্বাবুয়ের দেওয়া ১১৮ রানের লক্ষ্য ১২ বল আর ৫ উইকেট হাতে রেখেই টপকে যায় ম্যাক্স ও’ডাউডের দল। এই হারে জিম্বাবুয়ের শেষ চারে খেলার আশা আরও ক্ষীণ হয়েছে।

নেদ্যারল্যান্ডসের বিপক্ষে হারার দায়টা মূলত জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদেরই নিতে হবে। নেদ্যারল্যান্ডসের ১২০ বলের মধ্যে ৬৫টিই ডট খেলেছে ক্রেগ আরভিনরা। জিম্বাবুয়ে সম্ভবত ম্যাচটা সেখানেই হেরেছে। অ্যাডিলেডে এটিই বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ। টসে জিতে যেখানে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন আরভিন। যে সিদ্ধান্তের যথার্থতা প্রমাণ করতে পারেনি তারা।

ইনিংসের শুরুতেই ফেরেন মাধেবেরে। হোবার্টে স্কটল্যান্ডের সঙ্গে ফিফটির এর আগে টানা তিন ম্যাচে ব্যর্থ হয়েছেন আরভিন। ব্যর্থ হলেন আজও। দলের গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ব্যাট হাতে অধিনায়ক হয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে পারেননি। শন উইলিয়ামস ও সিকান্দার রাজা চেষ্টা করেছিলেন । গড়েছিলেন ৩৫ বলে ৪৮ রানের জুটি। তবে উইলিয়ামস ২৮ আর রাজা ৪০ রানে ফিরে গেলে জিম্বাবুয়ে আর দাঁড়াতে পারেনি। ডাচদের হয়ে পল ফল মিকেরেন ২৯ রানে ৩ উইকেট নেন।

এই উইকেটে ১১৮ রানে লক্ষ্য পার হতে খুব বেশি বেগ পেতে হয়নি নেদারল্যান্ডসের ব্যাটসম্যানদের। স্টিভেন মাইবুর্গ দলীয় ১৭ রানেই ফিরে গিলেও ম্যাক্স ও’ডাউড ও টম কুপারের ৭৩ রানের জুটিতে জয়ের দিকে এগিয়ে যায় ডাচরা। ব্যক্তিগত ৩২ রানে যখন টমস কুপার ফিরে যান, ডাচদের প্রয়োজন ছিল ৪৯ বলে ২৮ রান। এরপর নেদ্যারল্যান্ডস আরও তিন উইকেট হারায় বটে, তবে ম্যাচের ফলে তার কোনো প্রভাব পড়েনি। রিচার্ড এনগারাবা ও ব্লেসিং মুজারাবানি দুটি করে উইকেট নেন।