বিরাট কোহলি পারেননি। প্লে-অফের আগেই আটকে গেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। ব্যক্তিগত দিক দিয়ে অবশ্য কোহলির মৌসুমটা দারুণ গেছে। তবে শুবমান গিল এখনো থামেননি। গুজরাট টাইটানস উঠেছে ফাইনালে, ছুটছেন গিলও। কিন্তু দুজনের কেউই নন, এবারের আইপিএলে নিজের প্রিয় খেলোয়াড় হিসেবে এবি ডি ভিলিয়ার্স বেছে নিয়েছেন যশস্বী জয়সোয়ালকে।
গিল, কোহলি ও জয়সোয়াল—তিনজনই আছেন এবারের আইপিএলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকের তালিকায়। ফাইনালে ওঠা গুজরাটের গিল এখন পর্যন্ত ৮৫১ রান করেছেন ৬০.৭৮ গড় ও ১৫৬.৪৩ স্ট্রাইক রেটে। সর্বশেষ ৪ ম্যাচের তিনটিতেই সেঞ্চুরি। অন্যদিকে দুটি সেঞ্চুরিতে কোহলির রান ৬৩৯ এবং ৫৩.২৫ গড়ে ১৩৯.৬২ স্ট্রাইক রেটে খেলেছেন।
কোহলির সাবেক সতীর্থ ও কাছের বন্ধু ডি ভিলিয়ার্স অবশ্য প্রশংসায় ভাসিয়েছেন জয়সোয়ালকেই। রাজস্থান রয়্যালসের তরুণ ওপেনার এবার ৪৮.০৭ গড়ে করেছেন ৬২৫ রান। বাঁহাতির স্ট্রাইক রেটটা অবশ্য দুর্দান্ত—১৬৩.৬১! এবারের আইপিএলে শীর্ষ দশ রান সংগ্রাহকের মধ্যে এত গড় ও স্ট্রাইক রেট একসঙ্গে নেই আর কারও।
জিও সিনেমার সঙ্গে কথা বলার সময় জয়সোয়ালকেই এবারের মৌসুমের নিজের প্রিয় খেলোয়াড় হিসেবে উল্লেখ করেছেন ডি ভিলিয়ার্স, ‘আমার কাছে যসশ্বী জয়সোয়াল (প্রিয় খেলোয়াড়) এবং সেটিও বেশ বড় ব্যবধানে।’
এবারের আইপিএলে শীর্ষ পাঁচ রান সংগ্রাহকদের মধ্যে এক জয়সোয়াল ছাড়া সবারই আন্তর্জাতিক অভিষেক হয়েছে। ডি ভিলিয়ার্স এ তরুণে বেশ মুগ্ধ, ‘সে তরুণ খেলোয়াড়, তবে সব রকমের শট আছে। উইকেটে তার টেম্পারামেন্ট বেশ শান্ত ও ছন্দময়। বোলারদের ওপর তার আধিপত্য বিস্তার করে খেলা, দেখে মনে হয় সব সময়ই নিয়ন্ত্রণ আছে—আমার দারুণ লাগে।’
কেন গিলের চেয়েও জয়সোয়ালকে এগিয়ে রেখেছেন, সে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন ডি ভিলিয়ার্স, ‘শুবমানের বয়স একটু বেশি। তবে জয়সোয়ালের এখনো অনেক দূর যেতে হবে। তবে বড় খেলোয়াড় হওয়ার সব রকম যোগ্যতাই তার আছে।’
২০২০ সালে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ খেলা জয়সোয়াল আইপিএলের গত মৌসুমে ১০ ম্যাচে করেছিলেন ২৫৮ রান। ২০২০ সাল থেকেই আইপিএলে খেললেও জয়সোয়াল এবার নিজেকে আলাদা করেই চিনিয়েছেন। ভারতের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ-ও ভাবা হচ্ছে তাঁকে।
আপাতত অবশ্য জয়সোয়ালের গন্তব্য ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের জন্য তাঁকে ভারত দলের স্ট্যান্ড-বাই হিসেবে রাখা হয়েছে।