১৫২ রান—টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে হারারে স্পোর্টিং ক্লাব মাঠের উইকেটে মোটেই বড় সংগ্রহ নয়। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ভারতের মূল দল না খেললেও তাদের জয়টাই প্রত্যাশিত ছিল। সেটাই হয়েছে।
পাঁচ ম্যাচ সিরিজের চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে জিম্বাবুয়েকে ১০ উইকেটে হারিয়েছে ভারত। জিম্বাবুয়ের তোলা ১৫৩ রানের লক্ষ্যে ভারত জিতেছে ২৮ বল হাতে রেখে। ভারতীয় ওপেনার যশস্বী জয়সোয়াল ৫৩ বলে অপরাজিত ৯৩ রানের ইনিংস খেলেছেন। তাঁর সঙ্গে ৫৮ রানে অপরাজিত ছিলেন শুবমান গিল। এই জয়ে সিরিজের প্রথম ম্যাচ হারার পরও ১ ম্যাচ হাতে রেখে ৩-১ ব্যবধানে সিরিজ জিতল ভারত।
ভারতকে ১৫২ রানের নিচে আটকাতে হলে দারুণ কিছু করতে হতো জিম্বাবুয়ের বোলারদের। সেটা তারা করতে পারেনি। উল্টো ম্যাচের প্রথম ওভারে রিচার্ড এনগারাবার বলে ১৫ রান তুলে ঝোড়ো-ব্যাটিংয়ের ইঙ্গিত দেন জয়সোয়াল।
এরপর পুরো ম্যাচে চলেছে এমন দাপট। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে আজ জয়সোয়াল পেয়েছেন পঞ্চম ফিফটি। তাঁর ১৮ ইনিংসের ক্যারিয়ারে আছে ১টি সেঞ্চুরিও। এই সিরিজে অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পাওয়া গিলও পেয়েছেন টানা দ্বিতীয় ফিফটি। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার ১০ উইকেটে জিতেছে ভারত। আগেরবারও এই জিম্বাবুয়েকেই ১০ উইকেটে হারিয়েছিল ভারত, সেটা ২০১৬ সালে।
ব্যাট হাতে জিম্বাবুয়ের শুরুটা ভালোই ছিল। দুই ওপেনার ওয়েসলি মাধেভেরে ও তাদিওয়ানাশি মারুমানি গড়েন ৫২ বলে ৬৩ রানের জুটি। মারুমানিকে আউট করে সেই জুটি ভাঙেন স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার অভিষেক শর্মা।
এরপর ৯ থেকে ১৫—এই ৭ ওভারে মাত্র ৪০ রান তুলতে পারে জিম্বাবুয়ে। উইকেট হারায় ৪টি। এরপরও জিম্বাবুয়ে ১৫২ রানের সংগ্রহ পায় অধিনায়ক সিকান্দার রাজার ২৮ বলে ৪৬ রানের ইনিংসের ভর করে। শেষ ৫ ওভারে জিম্বাবুয়ে তোলে ৫৪ রান।
সংগ্রহটা আরও বড় হতে পারত। তবে ৯ বল বাকি থাকতে তুষার দেশাপান্ডের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম শিকার হিসেবে রাজা আউট হলে শেষ ৯ বলে মাত্র ১১ রান তুলতে পারে জিম্বাবুয়ে। ভারতের বাঁহাতি পেসার খলিল আহমেদ ৩২ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
জিম্বাবুয়ে: ২০ ওভারে ১৫২/৭( রাজা ৪৬, মারুমানি ৩২; খলিল ২/৩২, সুন্দর ১/৩২)
ভারত: ১৫.২ ওভারে ১৫৬/০( জয়সোয়াল ৯৩*, গিল ৫৮*; এনগারাবা ০/২৭)
ফল: ভারত ১০ উইকেটে জয়ী।