গত কয়েক দিন ধরেই সমালোচনার তিরে বিদ্ধ হচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। শুরুটা হয়েছিল টাকার অভাবে নারী ফুটবলারদের বিদেশ সফর বাতিল হওয়া নিয়ে। পরবর্তী সময়ে এ নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন বিসিবিপ্রধান নাজমুল হাসানও। ১৪ এপ্রিল আর্থিক অনিয়ম ও নথিপত্র জালিয়াতির দায়ে বাফুফে সাধারণ সম্পাদক আবু নাঈম সোহাগকে নিষিদ্ধ করেছে ফিফা।
আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে বিসিবির সভাপতির কাছে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হয়। দুস্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অবশ্য শুরুতে মন্তব্য করতে চাননি নাজমুল হাসান, ‘নো কমেন্ট। ক্রিকেটের বাইরে কোনো বিষয়ে ইন্টারেস্ট নেই।’
বাফুফের দুর্নীতি প্রসঙ্গে কোনো প্রশ্নের উত্তর না দেওয়ার কারণও জানিয়েছেন নাজমুল হাসান, ‘আমি নিশ্চিত বাফুফেতে যাঁরা আছেন, আমাদের ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আছে, নিশ্চয়ই তারা এটা নিয়ে দেখছে। এখনই এটা নিয়ে মন্তব্য করা আগাম হয়ে যায়।’
তবে তিনি বিষয়টি জেনেবুঝে পরবর্তী সময়ে মন্তব্য করবেন বলে জানিয়েছেন, ‘তারা (বাফুফে) কী করছে, তা একটু শুনে নেই, বুঝে নেই। এটা নিয়ে এ মুহূর্তে কোনো কথাই বলতে চাই না।’
এর আগে টাকার অভাবে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের প্রাক্-অলিম্পিক বাছাইয়ে মিয়ানমার সফরে না যাওয়ার বিষয়ে কেন মন্তব্য করেছিলেন, সেটিও আজ পরিষ্কার করেছেন বিসিবি সভাপতি।
তাঁর কথা, ‘আমার সেদিনের জবাবটা ছিল, ক্ষোভ থেকে। অনেকে মনে করে আমাকে নিয়ে কিছু বলেছিল সেটা না, মূল ক্ষোভ ছিল মেয়েরা যেতে না পারার বিষয়টি নিয়ে। ওইটা তো শেষ। ওখানে এখন কী হচ্ছে, সেটা আমি জানি না। এটা নিয়ে কথা বলতে হলে জানতে হবে, দেখতে হবে। সেটির সময়ও আমার নেই।’