মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ফখর জামান
মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ফখর জামান

ফখরের বাদ পড়া নিয়ে রিজওয়ান, সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা আমার নেই

কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকে ফখর জামানকে বাদ দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তাঁকে রাখা হয়নি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে সাদা বলের সিরিজের দলেও। পাকিস্তানের সাদা বলের অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান এ নিয়ে কথা বলেছেন। রিজওয়ানের দাবি, সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা তাঁর নেই।

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের শেষ দুই টেস্টে পাকিস্তান দল থেকে বাদ পড়েন বাবর আজম। তবে বাদ দেওয়া হতে পারে খবর শুনেই প্রতিবাদ জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে পিসিবির সমালোচনা করেছিলেন ফখর। পিসিবি এ জন্য তাঁকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছিল এবং ফখর সেই নোটিশের জবাবও দিয়েছিলেন। তখন অনেকে আঁচ করেছিলেন, অস্ট্রেলিয়া সফরের দল থেকে বাদ পড়তে পারেন বাঁহাতি এই ওপেনার।

পরে তো দেখা গেল, শুধু অস্ট্রেলিয়া সফর নয় জিম্বাবুয়ে সফরেও পাকিস্তান দলে নেই ফখর। বাবরকে ফেরানো হয় অস্ট্রেলিয়া সফরে। এ দুটি সফরের দল ঘোষণার দিন কেন্দ্রীয় চুক্তি থেকেও ৮ বছর পর বাদ পড়েন ফখর।

পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি ফখরের বাদ পড়ার বিষয়ে এর আগে সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, ‘টুইট (এক্সে পোস্ট) একটি কারণ, তবে বড় কারণ ছিল ফিটনেস।’

পাকিস্তানের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান ফখর জামান

৩৪ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যানকে নিয়ে সাংবাদিকদের রিজওয়ান বলেছেন, ‘ফখরের অবদান নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই। তার প্রভাব এমন, যেকোনো কন্ডিশনে একাই ম্যাচের গতিপথ পাল্টে দিতে পারে। সব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা তো আমার নেই, আমরা তার সম্ভাব্য ফেরা নিয়ে আলোচনা করেছি। আশা করি, ব্যাপারটা দ্রুতই সমাধান হবে।’

গত রোববার রিজওয়ানকে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়কের দায়িত্ব দেয় পিসিবি। এরপর পাকিস্তান জাতীয় দলে সাদা বলের কোচের দায়িত্ব ছাড়েন দক্ষিণ আফ্রিকান গ্যারি কারস্টেন।

নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বিষয়টি নিয়ে পাকিস্তানের সাবেক ব্যাটসম্যান বাসিত আলী বলেছিলেন, ‘রিজওয়ানকে অধিনায়ক বানানোর পরই সবকিছুর শুরু। কারস্টেন নেতৃত্বে অন্য কোনো খেলোয়াড়কে চেয়েছিলেন। এমন কাউকে, যে বর্তমান এই দলে নেই। তিনি ভেবেছিলেন, তাঁর পুরো কর্তৃত্ব আছে। কিন্তু তিনি বোঝেননি যে আমাদের দেশে এক রাতের মধ্যে পিসিবির চেয়ারম্যানই বদলে যেতে পারে।’

রিজওয়ানের কাছে সাদা বলে নতুন কোচ নিয়োগের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হয়েছিল। পাকিস্তান অধিনায়ক জানিয়েছেন, কোচ যে-ই হোক, তাঁর দল যেকোনো সাহায্য করতে প্রস্তুত, ‘ব্যক্তিগত লক্ষ্য নয়, পাকিস্তানের হয়ে খেলাতেই আমাদের মনোযোগ। প্রধান কোচ যিনিই হোন, লক্ষ্য অর্জনে আমরা একসঙ্গে কাজ করব।’

অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাকিস্তানের সিরিজ শুরু ৪ নভেম্বর, শেষ ১৮ নভেম্বর। জিম্বাবুয়ে সিরিজ শুরু ২৪ নভেম্বর, শেষ ৫ ডিসেম্বর।