তৃতীয় ওয়ানডেতে আম্পায়ারিং নিয়ে কটাক্ষ করেন হাসারাঙ্গা
তৃতীয় ওয়ানডেতে আম্পায়ারিং নিয়ে কটাক্ষ করেন হাসারাঙ্গা

নিষেধাজ্ঞা এড়ানোর সঙ্গে হাসারাঙ্গার টেস্টে ফেরার সম্পর্ক নেই, দাবি শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের

অবসর ভেঙে টেস্ট ক্রিকেটে ফিরতে চাওয়ার সঙ্গে ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গার নিষেধাজ্ঞা এড়ানোর কোনো সম্পর্ক নেই বলে দাবি করেছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি)। হাসারাঙ্গা এক ই–মেইলে আগেই টেস্টে ফেরার ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন বলেও দাবি করা হয়েছে।

বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের শেষ ম্যাচে আম্পায়ারের সঙ্গে অসদাচরণের দায়ে শাস্তি পান হাসারাঙ্গা। ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানার সঙ্গে ৩টি ডিমেরিট পয়েন্ট যুক্ত হয় তাঁর নামের পাশে। এর আগে আফগানিস্তানের সঙ্গে সিরিজে আম্পায়ারের সমালোচনা করে নিষিদ্ধ হয়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ২ ম্যাচে ছিলেন না তিনি। এবার ২ বছর ব্যাপ্তির মধ্যে ৮টি ডিমেরিট পেয়ে দুটি টেস্ট বা চারটি ওয়ানডে বার চারটি টি-টোয়েন্টিতে নিষিদ্ধ হন।

তবে শাস্তি ঘোষণার ঠিক আগের দিনই ঘোষিত টেস্ট দলে ছিল হাসারাঙ্গার নাম। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে মনোযোগ দেবেন বলে গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন ক্যারিয়ারে এ সংস্করণে ৪টি টেস্ট খেলা এ লেগ স্পিনার। তৃতীয় ওয়ানডে শেষ হওয়ার পরপরই টেস্ট দল ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা, যেখানে ওয়ানডে সিরিজের দল ঘোষণা করা হয়েছিল প্রথম ম্যাচের আগের দিন।

হাসারাঙ্গা তাঁর ক্যারিয়ারের সর্বশেষ টেস্টটি খেলেছিলেন বাংলাদেশের বিপক্ষে

টেস্ট দলে নাম না থাকলে নিষেধাজ্ঞার কারণে জুনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শুরুতে খেলতে পারতেন না এ সংস্করণে শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক হাসারাঙ্গা। তবে এখন তাঁর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজেই। নিষেধাজ্ঞা এড়াতেই হাসারাঙ্গার নাম টেস্ট সিরিজের দলে রাখা হয়েছে—এমন আলোচনাও উঠেছে এরপর। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমও বেশ সরব।

ক্রিকেটভিত্তিক ওয়েবসাইট ইএসপিএনক্রিকইনফো শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের বরাত দিয়ে জানিয়েছে, ফিটনেসের উন্নতি হয়েছে জানিয়ে ১৬ মার্চ এক ই–মেইলে টেস্টে ফেরার কথা জানিয়েছিলেন এক বছরের বেশি সময় প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটের বাইরে থাকা হাসারাঙ্গা। অবশ্য শ্রীলঙ্কার নির্বাচক কমিটির সদস্য অজন্তা মেন্ডিসের দাবি, হাসারঙ্গা টেস্টে ফেরার ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন ১৬ মার্চের আগে। মেন্ডিস ক্রিকইনফোকে বলেছেন, ‘প্রায় দুই সপ্তাহ আগে সে আমাদের বলেছে যে আবার টেস্ট খেলতে রাজি সে। আমরা জানি এখন ব্যাপারটি কেমন মনে হচ্ছে, তবে শেষ ওয়ানডের আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’

হাসারাঙ্গা টেস্ট ক্রিকেটে ফিরছেন কি না, এ ব্যাপারে আইসিসির সঙ্গেও শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটের যোগাযোগ হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হাসারঙ্গা টেস্ট খেললে অবশ্য সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে আইপিএলের শুরুর দিকে খেলতে পারতেন না। তবে ক্রিকইনফো বলছে, হাসারাঙ্গা যে টেস্টে ফেরার পরিকল্পনা করছেন—সে ব্যাপারে হায়দরাবাদ কিছু জানত না।

আইনের ফাঁকফোকর দিয়ে সুবিধা নেওয়ার ব্যাপারটি অবশ্য শ্রীলঙ্কার জন্য নতুন নয় মোটেও। ২০১২ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তখনকার অধিনায়ক মাহেলা জয়াবর্ধনের বদলে টস করতে নেমেছিলেন কুমার সাঙ্গাকারা। সে টুর্নামেন্টে ওভারের মন্থরগতির কারণে একবার শাস্তি পেয়েছিলেন জয়াবর্ধনে, আবার তেমন কিছু ঘটলে ম্যাচ নিষেধাজ্ঞা পেতে পারতেন। টস করতে আসার ব্যাখ্যা হিসেবে সাঙ্গাকারা বলেছিলেন, ‘মাহেলা টানা তিনটি টস হেরেছে (বলে আমি এসেছি)।’