ইব্রাহিম জাদরানের ঐতিহাসিক ১২৯ রানের ইনিংসে ভর করে মুম্বাইয়ে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ২৯১ রান তুলেছে আফগানিস্তান। বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের হয়ে প্রথম শতকটি করেছেন ইব্রাহিম, এ ইনিংস আক্ষরিক অর্থেই আবর্তিত হয়েছে তাঁকে কেন্দ্র করে। ইনিংস উদ্বোধন করতে নেমে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন তিনি। শেষ দিকে রশিদ খানের সঙ্গে ইব্রাহিমের ২৮ বলে ৫৮ রানের অবিচ্ছিন্ন ঝোড়ো জুটিতে লাফ দেয় আফগানিস্তান, ১৮ বলে ৩৫ রানের ক্যামিও ইনিংস খেলেন রশিদ।
মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজলউডের বিপক্ষে শুরুটা ইতিবাচকই ছিল দুই আফগান ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ ও ইব্রাহিমের। ভালো একটা শুরু পেলেও গুরবাজ অবশ্য উইকেট ছুড়ে আসেন হ্যাজলউডকে পুল করতে গিয়ে ২৫ বলে ২১ রান করে। রহমত শাহও তা–ই করেছেন, ৪৪ বলে ৩০ রান করে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন তিনি। অবশ্য রহমতের সঙ্গে ইব্রাহিমের জুটিতে ওঠে ৮৩ রান।
অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদির সঙ্গে এরপর ৫২ রানের জুটি গড়েন ইব্রাহিম, ৩৭.২ ওভার পর্যন্ত স্থায়ী হয় যেটি। মিচেল স্টার্কের দুর্দান্ত ডেলিভারিতে আফগানিস্তান অধিনায়ক বোল্ড হলে ভাঙে সে জুটি। এবারের বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের ব্যাটিংয়ের যে ধরন, তখন পর্যন্ত ঠিক সেটি কার্যকর হয়নি, ভালো শুরু পেলেও ইব্রাহিম ছাড়া কেউই সেভাবে বড় করতে পারেননি ইনিংস।
ইনিংসের শেষ ভাগে তাই বড় একটা লাফই দিতে হতো তাদের। আজমতউল্লাহ ওমরজাই (১৮ বলে ২২), মোহাম্মদ নবী (১০ বলে ১২) সেটিরই চেষ্টা করছিলেন। এরপর ৪৬তম ওভারে ক্রিজে আসেন রশিদ, আফগানিস্তান দেয় ওই লাফ। ১৭ রানে দাঁড়িয়ে অবশ্য একবার বেঁচে যান রশিদ, স্টার্কের বলে ডিপ কাভারে ছুটে তাঁর ভালো ক্যাচ নিয়েছিলেন মার্কাস স্টয়নিস। যদিও টেলিভিশন আম্পায়ার সেটিকে ক্যাচ দেননি।
দুই ম্যাচ আগে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৮৭ রান করে আউট হয়েছিলেন ইব্রাহিম, ফলে একটা আক্ষেপ থেকে গিয়েছিল তাঁর। আজ ৬২ বলে পূর্ণ করেন অর্ধশতক। তিন অঙ্কে যেতে তাঁর লাগে ১৩১ বল। অবশ্য শতকের পর গতি বাড়ান, পরের ১২ বলে করেন ২৯ রান।
স্টিভ স্মিথবিহীন অস্ট্রেলিয়া আজ বোলিং করিয়েছে ৭ জনকে দিয়ে। মাঝের ওভারে দুর্দান্ত অ্যাডাম জাম্পাকে অবশ্য শুধু একটি উইকেটই দিয়েছে আজ আফগানিস্তান, এ লেগ স্পিনার ৫৮ রান দিয়েছেন ১০ ওভারে। ৩৯ রানে ২ উইকেট নেন হ্যাজলউড।