৩১৯ রানের লক্ষ্যে নেমে শূন্য রানে ২ উইকেট হারিয়েছে পাকিস্তান
৩১৯ রানের লক্ষ্যে নেমে শূন্য রানে ২ উইকেট হারিয়েছে পাকিস্তান

পাকিস্তানের লক্ষ্য ৩১৯, চতুর্থ দিন শেষে স্কোরবোর্ডে ০ রান, নেই ২ উইকেট

দিনের খেলা বাকি মাত্র ৩ ওভার। এমন সময়ে টিম সাউদি ইনিংস ঘোষণা করে দেওয়ার অর্থ ছিল একটাই—পাকিস্তানের দুই ওপেনারের মধ্যে অপরাজিত থেকে মাঠ ছেড়ে যাওয়ার চাপ তৈরি করা।

সেই চাপে দ্বিতীয় বলেই ভেঙে পড়লেন আবদুল্লাহ শফিক। সাউদির করা নিচু হয়ে আসা বলে বোল্ড হয়ে গেলেন পাকিস্তানের ওপেনার। টিকতে পারলেন না নাইট-ওয়াচম্যান হিসেবে নামা আমির হামজাও। তৃতীয় ওভারের পঞ্চম বলে তিনি বোল্ড হলেন ইস সোধির বলে। দিনের খেলা শেষ সেখানেই। পাকিস্তান চতুর্থ দিনের খেলা শেষ করেছে দ্বিতীয় ইনিংসে কোনো রান না করেই, ২ উইকেট হারিয়ে।

করাচি টেস্ট জিততে পাকিস্তানের সামনে এখনো ৩১৯ রানের লক্ষ্য, হার এড়াতে খেলতে হবে পঞ্চম দিনের ৯০ ওভার। হাতে আছে ৮ উইকেট। করাচি টেস্টের প্রথম তিন দিনে দুই দলের প্রথম ইনিংসও শেষ হয়নি। মোড় ঘুরেছে চতুর্থ দিনে।

নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ৪৪৯ রানের বিপরীতে তৃতীয় দিন পর্যন্ত ৯ উইকেটে ৪০৭ রান তুলেছিল পাকিস্তান। আজ চতুর্থ দিন সকালে এক ওভার ব্যাট করে ১ রান যোগ করে পাকিস্তান। নিউজিল্যান্ড লিড পায় ৪১ রানের।

ব্রেসওয়েলের বিপক্ষে এই আবেদন সফল হয়নি পাকিস্তানের, কিউই ব্যাটসম্যান দ্বিতীয় ইনিংসে অপরাজিত ছিলেন ৭৪ রানে

দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই ডেভন কনওয়েকে হারায় কিউইরা। দ্বিতীয় উইকেটে ধাক্কা সামলে নেন টম ল্যাথাম-কেইন উইলিয়ামসন। ১০৯ রানের জুটি গড়ার পথে ল্যাথাম খেলেন ১০৩ বলে ৬২ রানের ইনিংস। বাঁহাতি এ ওপেনারকে আবরার আহমেদের ক্যাচ বানিয়ে ফেরান নাসিম শাহ।

পরের ওভারে ৪২ রান করা উইলিয়ামসনকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেলেন আবরার। কিছুক্ষণ পর হাসান আলী হেনরি নিকোলসকে তুলে নিলে বিপদে পড়ে যায় নিউজিল্যান্ড। ৮.১ ওভারের ব্যবধানে ১ উইকেটে ১১৪ থেকে ৪ উইকেটে ১২৮ রানে পরিণত হয় নিউজিল্যান্ড।

সেখান থেকে সফরকারীদের উদ্ধার করেন টম ব্লান্ডেল ও মিচেল ব্রেসওয়েলরা। পঞ্চম উইকেটে ৩৬.৩ ওভার ব্যাট করে যোগ করেন ১২৭ রান। ফিফটিও তুলে নেন দুজনই। ব্লান্ডেল ১৩৫ বলে ৭৪ রান করে আউট হলেও ব্রেসওয়েল অপরাজিত ছিলেন ৭৪ রানে।

৫ উইকেটে ২৭৭ রান তুলে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক সাউদি। যে রানের পেছনে ছুটতে নেমে ২.৫ ওভারের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়েছে পাকিস্তান।